ইরাকে নিহত ইয়াজিদিদের আরেক গণকবর

সম্প্রতি সন্ধান পাওয়া ইরাকের উত্তরাঞ্চলে নিহত সংখ্যালঘু ইয়াজিদি সম্প্রদায়ের একটি গণকবরে অন্ততপক্ষে ১১০ জন ছিলেন বলে জানা গেছে।

নিউজ ডেস্কবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 30 Nov 2015, 07:12 AM
Updated : 30 Nov 2015, 09:49 AM

দেশটির কর্মকর্তাদের বরাতে বিবিসি এই তথ্য জানিয়েছে।

নভেম্বরের প্রথম দিকে তথাকথিত ইসলামিক স্টেটের (আইএস) কবল থেকে সিনজার মুক্ত করার পর শহরটির কাছে এই গণকবরের খোঁজ পাওয়া যায়।

২০১৪ সালের অগাস্টে আইএস সিনজার দখল করে ইয়াজিদি সম্প্রদায়ের নারীদের যৌনদাসী হিসেবে কাজ করতে বাধ্য করে, অনেক নারীকে ধর্ষণ করে।

শহরটির কাছাকাছি এলাকায় এই নিয়ে ছয়টি গণকবরের সন্ধান পাওয়া গেল।

নাইনভে প্রদেশের সিনজার শহরের প্রায় ১০ কিলোমিটার পশ্চিমে সাম্প্রতিক এই গণকবরটির খোঁজ পাওয়া গেছে বলে শহিরটির মেয়র মাহমা খলিল জানিয়েছেন।

গণকবরটির চারপাশে বোমা পেতে রাখা হয়েছে। এ কারণে এখনো সেখান থেকে নিহত হতভাগ্যদের দেহাবশেষ উদ্ধার করা সম্ভব হয়নি।

কবরটিতে লাশের সংখ্যার হিসাব পাওয়া গেছে প্রত্যক্ষদর্শীদের বিবরণ থেকে।

তিনি আন্তর্জাতিক অপরাধ আদালতে অভিযোগ জানানোর জন্য তথ্যপ্রমাণ সংগ্রহে আন্তর্জাতিক বিভিন্ন সংগঠনের প্রতি সহায়তার আবেদন জানিয়েছেন। একে তিনি ইয়াজিদি সম্প্রদায়ের ওপর আইএসের গণহত্যা বলে অভিহিত করেছেন।

১৫ মাস পর আইএসের দখল থেকে সিনজার মুক্ত করে ইয়াজিদি ও কুর্দি যোদ্ধারা। ছবি: রয়টার্স

শহরটির মোট জনসংখ্যার দিক দিয়ে ইয়াজিদি সম্প্রদায়ের মানুষই বেশি।

দুই সপ্তারও কম সময় আগে আর একটি গণকবরের সন্ধান পাওয়া যায় যেখানে ৮০ জন নারীর লাশ পাওয়া গিয়েছিল। তাদের সবার বয়স ৪০ থেকে ৮০ বছরের মধ্যে।

যৌনদাসী হিসেবে ব্যবহার কিংবা ধর্ষণের অনুপযুক্ত বিবেচনায় তাদের হত্যা করা হয়ে থাকতে পারে বলে ধারণা প্রকাশ করেছেন একজন কর্মকর্তা।

জরথুস্ত্র মতবাদ ও প্রাচীন মেসোপটেমিয়া ধর্মের সমন্বয়ে ইয়াজিদিদের ধর্ম বিশ্বাস গড়ে উঠেছে। আইএস এই ধর্মাবলম্বীদের নাস্তিক বা ধর্মদ্রোহী বলে বিবেচনা করে।

জাতিসংঘ জানিয়েছে, ইয়াজিদিদের প্রতি আইএসের আচরণই প্রমাণ করে তারা ইরাকে গণহত্যা ও যুদ্ধাপরাধ করেছে।