নিহত আইনজীবীর নাম তাহির এলকি। কুর্দি-পন্থি দল এইচডিপি একে পরিকল্পিত হত্যাকাণ্ড বলে বর্ণনা করেছে এবং জনগণকে এ ঘটনার প্রতিবাদ জানানোর অনুরোধ করেছে।
দক্ষিণপূর্বাঞ্চলের শহর দিয়ারবাকিরে শনিবার এ ঘটনা ঘটে। তুরস্ক সরকারের নিষিদ্ধ ঘোষিত কুর্দিস্তান ওয়ার্কারস পার্টি (পিকেকে) সন্ত্রাসীদের সংগঠন নয় বলে মন্তব্য করায় এলকি’র বিচার চলছিল।
জুলাইয়ে পিকেকে ও তুরস্কের নিরাপত্তা বাহিনীর বন্দুক যুদ্ধে কয়েকশ মানুষের মৃত্যুর পর দলটিকে নিষিদ্ধ ঘোষণা করা হয়।
প্রত্যক্ষদর্শীরা রয়টার্সকে জানান, ঘটনার সময় এলকি সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলছিলেন। এইচডিপি’র স্থানীয় এক কর্মকর্তা ওমর তাস্তান রয়টার্সকে বলেন, “মাত্র এলকি বক্তব্য শেষ করেছেন। এ সময় ভীড় লক্ষ্য করে গুলি বর্ষণ শুরু হয়। এলকির মাথায় একটি গুলি লাগে।”এ ঘটনায় আরও অন্তত ১১ জন আহত হয়েছে বলেও জানান তিনি।
ঘটনাস্থলের বেশ কয়েকটি ভিডিও প্রকাশ পেয়েছে। যদিও বিভিন্ন দিক থেকে ধারণ করা ওই ভিডিগুলো দেখেও প্রকৃত ঘটনা পরিষ্কারভাবে বোঝা যাচ্ছে না বলে জানিয়েছে রয়টার্স।
রয়টার্সের টেলিভিশন ফুটেজে দেখা যায়, পুলিশকে পেরিয়ে এলকির দিকে দৌড়ে যেতে থাকা এক ব্যক্তিকে লক্ষ্য করে গুলি ছুঁড়ছে সাদা পোশাকের পুলিশ।
স্থানীয় গণমাধ্যমে প্রকাশিত অন্য একটি ভিডিওতে দেখা যায়, দুই ব্যক্তি দৌড়ে পুলিশকে পেরিয়ে যাচ্ছে এবং পুলিশ তাদের লক্ষ্য করে গুলি ছুঁড়ছে।
পুলিশের নজরদারি ক্যামেরায় ধারণ করা ফুটেজে দেখা যায়, হলুদ রংয়ের বড় একটি ক্যাব ঘটনাস্থলে আসে এবং পুলিশ সেটির দিকে দৌড়ে যায়। একজন ক্যাবের দরজা খুলি গুলি করা শুরু করে এবং দুই পুলিশ মাটিতে পড়ে যায়। এরপর ক্যাবের যাত্রীরা দৌড়ে পালিয়ে যায়।
তুরস্কের গণমাধ্যমগুলো জানায়, গুলি খাওয়া দুই পুলিশের একজন ঘটনাস্থলেই নিহত হন। অন্য জন পরে মারা যান।
তুরস্কের প্রধানমন্ত্রী আহমেত দাভুতগলু বলেন, এলকি বন্দুক যুদ্ধের মধ্যে পড়ে মারা গেছেন নাকি তাকে হত্যা করা হয়েছে সেটা এখনও পরিষ্কার নয়।
এলকি’র মৃত্যুর পর এ হত্যাকাণ্ডের প্রতিবাদে জানাতে তুরস্কের রাজধানী ইস্তাম্বুলে কয়েশ মানুষ রাস্তায় নেমে আসে। তারা ‘ফ্যাসিবাদের বিরুদ্ধে এক হও’ ‘তাহির এলকি অমর হোক’ বলে স্লোগান দিতে থাকে। টিয়ার গ্যাস ও জলকামান ব্যবহার করে পুলিশ তাদের ছত্রভঙ্গ করে দেয়।