কানাডার লুকারা খনি কোম্পানি ও ডায়মন্ড করপোরেশন বতসোয়ানার খনিতে পাওয়া ১,১১১ ক্যারেট ওজনের এ হীরক খণ্ডটির মূল্যএখনও নির্ধারণ করতে পারেনি।
হীরাটির মূল্য ছয় কোটি মার্কিন ডলারের বেশি হবে বলে খবর পাওয়া গেলেও লুকারার প্রধান নির্বাহী উইলিয়াম লাম্ব বলছেন, এর দাম কত হবে তা এখনই বলা যাচ্ছে না।
হীরাটি এপর্যন্ত উদ্ধার পাওয়া দ্বিতীয় বৃহত্তম হীরকখণ্ড এবং ১৯০৫ সালের পর আবিষ্কার হওয়া সবচেয়ে বড় হীরা।
৩,১০৬ ক্যারেট ওজনের সবচেয়ে বড় হীরা ‘কলিনান ডায়মণ্ড’ ১৯০৫ সালে দক্ষিণ আফ্রিকার একটি খনি থেকে পাওয়া যায়। সেটিকে ৯ টুকরা করা হয় এবং এর বেশিরভাগই রয়েছে ব্রিটেনের রাজমুকুটে।
লুকারার প্রধান নির্বাহী উইলিয়াম লাম্ব সিএনএনকে বলেন, “মূল্য নির্ধারণের জন্য আরও সময় প্রয়োজন। এখনও কোম্পানি হীরাটির দাম সম্পর্কে কোনো ধারণা করতে পারেনি।”
তিনি আরও বলেন,“শুধু ওজনের ভিত্তিতে হীরার দাম নির্ধারণ হয় না। বরং ক্রেতাদের আগ্রহের ভিত্তিতে মূল্য নির্ধারিত হয়।”
হীরাটির জন্য এরই মধ্যে চার কোটি মার্কিন ডলারের প্রস্তাব পেয়েছেন লাম্ব। অনেকে আবার ১,১১১ ক্যারেট ওজনের মূল্যবান পাথরটি ৬ কোটি ৬০ লাখ মার্কিন ডলার মূল্যের হবে বলে ধারণা প্রকাশ করেছেন।
লাম্ব বলেন, হীরক খণ্ডটির প্রকৃত মূল্য নির্ধারণের আগে আগ্রহী ক্রেতারা অবশ্যই ব্যক্তিগতভাবে সেটি পরীক্ষা করবে।
কিন্তু হীরাটি অনেক বড় হওয়ায় প্রচলিত কোনো স্ক্যানারে সেটি স্ক্যান করা সম্ভব হচ্ছে না বলেও জানান তিনি। স্ক্যানারের মাধ্যমে হীরার স্বচ্ছতা, রং, অভ্যন্তরীন ফাটল এবং ঠিক কিভাবে খণ্ড করলে সর্বোচ্চ মূল্য পাওয়া যাবে তা নির্ধারণ করা হয়।
কিন্তু এই হীরার ক্ষেত্রে আগ্রহী ক্রেতাদের নিজেদের জ্ঞান ও চোখের আন্দাজের ওপর নির্ভর করেই দাম নির্ধারণ করতে হবে বলে মনে করেন ডায়মন্ড লুপের সম্পাদক ক্রিস্টফার জেমেচক।
তিনি বলেন, “খুব সম্ভবত হীরক খণ্ডটি হীরা ব্যবসার প্রাণকেন্দ্র বেলজিয়ামে নিয়ে যাওয়া হবে।”
উইলিয়াম লাম্ব বলেন, বতসোয়ানা সরকারও হীরাটির মূল্য নির্ধারণ করবে।
বতসোয়ানার কোনো খনি থেকে মূল্যবান পাথর উদ্ধার হলে সেই পাথরের মূল্যের ১০ শতাংশ পায় দেশটির সরকার। তাছাড়া, খনিজদ্রব্য রপ্তানীর ক্ষেত্রে ১০ শতাংশ রপ্তানীকরও আদায় করা হয়।