আগামী ১১ থেকে ১৩ ডিসেম্বর অনুষ্ঠেয় নবম ইন্ডো-জাপান সম্মেলনে যোগ দিতে আবে ভারতে সফর করবেন। ২০১৪ সালে নির্বাচনের পর আবে সরকারের এটিই প্রথম সফর।
শনিবার সন্ধ্যায় রাজধানী টোকিওতে জাপানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী ফুমিও কিয়েশিদা এবং ভারতের পররাষ্ট্রমন্ত্রী শ্রী জয়শঙ্কর এক বৈঠকের পর এ সফরসূচি ঘোষণা করা হয়। দক্ষিণ এশিয়ার অর্থনীতির অন্যতম এই দুই মোড়লের সম্মেলনকে অত্যন্ত তাৎপর্যপূর্ণ বলে মনে করা হচ্ছে।
এর আগে গত ২২ ডিসেম্বর ফিলপাইনে এশিয়ান সম্মেলনে ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী ও শিনজো আবে মতবিনিময় করেন।
এছাড়াও বেশ কিছু দ্বি-পক্ষীয় চুক্তি ও বিভিন্ন রাজনৈতিক সংগঠনের সঙ্গে মতবিনিময়ও থাকছে। কর্মকর্তাদের উদ্ধৃতি দিয়ে বার্তা সংস্থা কিয়োডো বলেছে, জাপান সম্প্রতি তৈরি করা ইউএস-২ নামক একটি উচ্চ বিলাসী বিমান বিক্রি করতে পারে।
জাপানের দ্রুততম ট্রেন ‘শিনকানসেন’ প্রযুক্তি ভারতে চালু হওয়ার বিষয়টিও আলোচনায় আসবে বলে মনে করা হচ্ছে।
গত বছর ৩০ অগাস্ট ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী টোকিওয় ৫ দিনের রাষ্ট্রীয় সফরে এসেছিলেন। ওই বছর জাপান সরকার ভারতকে ৩৪ বিলিয়ন মার্কিন ডলার অর্থ সহায়তা দিয়েছিলেন। জাপানের সবেচেয়ে বড় ব্যবসায়িক প্রতিষ্ঠানগুলো ভারতে কাজ করছে। ইলেকট্রনিক্স প্রযুক্তির এই প্রতিষ্ঠানগুলোর অনেক কোম্পানিও ভারতে তাদের পণ্যসামগ্রী উৎপাদন করে।
চলতি এই সফরে সবচেয়ে বড় ইস্যু ধরা হচ্ছে দক্ষিণ-এশিয়ার সন্ত্রাস দমন এবং চীন সাম্প্রতিক জলসীমা লঙ্ঘন ইস্যু। ইতমধ্যে ভারত, জাপান ও যুক্তরাষ্ট্রের সেনারা যৌথভাবে ভারতের সাগরে নৌ-প্রশিক্ষণ শুরু করেছে।
তবে কয়েকদিন আগে জাপানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী ফুমিও কিয়োশিদা মধ্যপাচ্য, উত্তর আফ্রিকা, দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়া এবং দক্ষিণ এশিয়ায় জাপানের হাইকমিশনগুলোতে সামরিক প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত বিশেষ গোয়েন্দা নিয়োগের ঘোষণা দেয়। সাম্প্রতিক সময়ে ইসলামিক স্টেটের (আইএস) হামলার প্রেক্ষিতে আগামী ৮ ডিসেম্বর থেকে এ চার এলাকায় ৩০ থেকে ৪০ জনের একটি গোয়েন্দা দল সন্ত্রাস তৎপরতা নিয়ে কাজ করবে।