গত অগাস্টে সীমান্তে সামরিক উত্তেজনার পর দুই কোরিয়ার কর্মকর্তারা বৃহস্পতিবার এ বৈঠকে বসেছেন দুই দেশের বেসামরিক জোনের সীমান্ত গ্রাম পানমুনজমে।
ওইসময় একটি বৈঠকের মধ্য দিয়ে সামরিক সংঘাত থেকে সরে এসেছিল দুই কোরিয়া। আর এখন দুপক্ষ একটি চুক্তিতে সই করার পর নতুন করে বৈঠক শুরু করল।
অগাস্ট মাসে সীমান্তে ভূমিমাইন বিস্ফোরণে দুই দক্ষিণ কোরীয় সেনা আহতের ঘটনার জন্য উত্তর কোরিয়া দুঃখপ্রকাশ করে সিউলের সঙ্গে ওই চুক্তি সই করে। এরপরই পানমুনজমে এ বৈঠকে বসল দুপক্ষ।
বিবিসি সংবাদদাতারা বলছেন, বৈঠকটি থেকে বড় কোন ফল হয়ত আসবে না। তবে দুই দেশের মধ্যকার অবিশ্বাস থেকে বেরিয়ে বৈঠকে মিলিত হওয়াটাই গুরুত্বপূর্ণবিষয়।
বৈঠকে বড় কোন আলোচ্যসূচিও নেই। তবে কিভাবে বৈঠক চালিয়ে যাওয়া যায় এবং আরও উচ্চপর্যায়ে বৈঠক আয়োজন করা যায় তা নিয়ে চলবে আলোচনা।
দক্ষিণ কোরিয়ার সংবাদ সংস্থা ইয়োনহাপ জানিয়েছে, দুপক্ষ উচ্চপর্যায়ের বৈঠক করার দিনক্ষণ এবং আলোচ্যসূচি ঠিক করা নিয়ে আলোচনা করবে।
দক্ষিণ কোরিয়ার শীর্ষ প্রতিনিধি কিম কি উং বলেছেন, “আমরা বিশ্বস্ততার সঙ্গে আগেরবারের উচ্চপর্যায়ের আলোচনায় হওয়া চুক্তি অনুযায়ী কাজ করার যথাসাধ্য চেষ্টা চালাব।”