বুধবার এক বিবৃতিতে যুক্তরাষ্ট্রের অর্থমন্ত্রণালয় জানায়, তারা ওই সিরীয় ব্যবসায়ীসহ সিরীয় সরকারকে সমর্থন যোগানোয় আরো তিন ব্যক্তির বিরুদ্ধে এবং তাদের সঙ্গে সম্পর্কিত ব্যবসাগুলোর বিরুদ্ধে নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছে।
আরোপ করা নিষেধাজ্ঞার তালিকায় রাশিয়ার একটি বাণিজ্যিক ব্যাংকও রয়েছে।
সম্প্রতি প্যারিসে জঙ্গি হামলায় ১৩০ জন নিহত হওয়ার পর আইএসের আর্থিক উৎস বন্ধ করার বিষয়ে সম্মত হয়েছে আইএসবিরোধী রাষ্ট্রগুলো। আইএস প্যারিস হামলার দায় স্বীকার করেছে।
সিরিয়ার গৃহযুদ্ধকে কেন্দ্র করে আরোপিত সর্বশেষ মার্কিন নিষেধাজ্ঞায় যুক্তরাষ্ট্রের নাগরিকদের নিষেধাজ্ঞার আওতায় পড়া ব্যক্তি বা বাণিজ্যিক প্রতিষ্ঠানগুলোর সঙ্গে কোনো ধরনের লেনদেন না করার জন্য বলা হয়েছে। এই নিষেধাজ্ঞা অমান্য করলে তাদের সম্পদও জব্দ করার কথা বলা হয়েছে।
বিশ্বের ইসলামপন্থি সন্ত্রাসী গোষ্ঠীগুলোর মধ্যে আইএসকে সবচেয়ে সম্পদশালী বলে বর্ণনা করেছেন যুক্তরাষ্ট্রের কর্মকর্তারা।
সিরীয় সরকারের নিয়ন্ত্রণ থেকে ছিনিয়ে নেওয়া তেল ক্ষেত্রগুলোর জ্বালানি তেল বিক্রি করেই গোষ্ঠীটি সবচেয়ে বেশি তহবিল সংগ্রহ করে বলে ধারণা করা হয়।
বিশেষজ্ঞ ও কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, চোরাচালানের দীর্ঘ একটি নেটওয়ার্কের ব্যবহার করে আইএস এসব তেল বিক্রি করে থাকে।
গেল বছর যুক্তরাষ্ট্রের অর্থমন্ত্রণালয়ের একজন কর্মকর্তা বলেছিলেন, সিরিয়ার প্রেসিডেন্ট বাশার আল আসাদের সরকারও আইএসের তেল কিনতে আগ্রহী।
আইএসের কাছ থেকে সিরীয় সরকারের তেল ক্রয়ের বিষয়ে দেশটির ব্যবসায়ী জর্জ হাসওয়ানিকে ‘মধ্যস্থতাকারী’ হিসেবে চিহ্নিত করে তার ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছে যুক্তরাষ্ট্র।
হাসওয়ানির মালিকানাধীন এইচইএসসিও ইঞ্জিনিয়ারিং কোম্পানির বিরুদ্ধেও নিষেধাজ্ঞা আরোপ করা হয়েছে।