মঙ্গলবারের ওই আত্মঘাতী বোমা হামলায় ১৩ জন নিহত হয়েছেন।
দেশটির স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, পিঠে ঝোলানো ব্যাগ কিংবা বেল্টে প্রায় ১০ কেজি সামরিক বিস্ফোরকের সাহায্যে এই বিস্ফোরণ ঘটানো হয়েছে।
চলতি বছর দেশটির পর্যটন শিল্পকে লক্ষ্য করে চালানো দুটি বড় ধরনের প্রাণঘাতী হামলার দায় স্বীকার করেছিল আইএস।
দেশটির রাজধানী তিউনিসে মোহামেদ ভি অ্যাভিনিউয়ের এই হামলা চালানো হয়। এর কাছেই গণবিক্ষোভের মুখে দেশ ছেড়ে পালানো প্রেসিডেন্ট জিনে আল-আবিদিনের পার্টির সাবেক সদরদপ্তরের অবস্থান।
বোমা বিস্ফোরণের পর রাজধানীতে সান্ধ্য আইন জারি করে দেশজুড়ে জরুরি অবস্থা ঘোষণা করেন তিউনিসিয়ার প্রেসিডেন্ট বেজি কায়িদ এসেবসি।
বিস্ফোরণের পরপরই নিরাপত্তা বাহিনীগুলো ঘটনাস্থল ঘিরে সব ধরনের চলাচল বন্ধ করে দেয়।
নিরাপত্তা বাহিনীর সূত্রগুলো জানায়, প্রেসিডেন্ট প্রাসাদে যাওয়ার উদ্দেশে শহরতলী থেকে রক্ষীদের বাসে তোলা হচ্ছিল, তখনই বোমা বিস্ফোরণ ঘটিয়ে বাসটি উড়িয়ে দেওয়া হয়।
চলতি বছর তিউনিসিয়ায় এটি তৃতীয় বড় ধরনের হামলা। আগের দুটি হামলায় দেশটির পর্যটন শিল্পকে লক্ষ্য করে চালানো হয়েছিল।
মার্চে রাজধানীর বার্দো জাদুঘরে পর্যটকদের ওপর বন্দুকধারীদের গুলিবর্ষণে ২১ জন নিহত হন।
এরপর জুনে দেশটির ভূমধ্যসাগরীয় এক অবকাশ কেন্দ্রের সাগরতটের একটি হোটেলে এক বন্দুকধারীর নির্বিচার গুলিবর্ষণে আরো ৩৮ পর্যটক নিহত হন।
ওই দুটি হামলার দায়ই ইসলামিক স্টেট (আইএস) স্বীকার করেছে।
এছাড়া আলজেরীয় সীমান্তের পার্বত্য এলাকায় সক্রিয়া আরেকটি জঙ্গিগোষ্ঠীর বিরুদ্ধে লড়াই করছে দেশটির সেনাবাহিনী। দেশটির প্রত্যন্ত এলাকার সেনা তল্লাশি চৌকিগুলোতে ও টহলদলগুলোকে লক্ষ্য করে বিভিন্ন সময় জঙ্গিরা হামলা চালিয়েছে।