‘বিমান ভূপাতিতের ঘটনায় সিরিয়া ইস্যু জটিল হয়েছে’

তুর্কি হামলায় রুশ যুদ্ধবিমান ভূপাতিত হওয়ার ঘটনায় সিরিয়া সঙ্কটের রাজনৈতিক সমাধান খোঁজার প্রক্রিয়া জটিল হয়ে পড়েছে বলে মন্তব্য করেছেন জার্মানির চ্যান্সেলর আঙ্গেলা মেরকেল।

নিউজ ডেস্কবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 25 Nov 2015, 01:00 PM
Updated : 25 Nov 2015, 01:00 PM

জার্মানির পার্লামেন্টের নিম্নকক্ষে সিরিয়ার পরিস্থিতি নিয়ে আলোচনার সময় মেরকেল বলেন, "তুরস্ক রাশিয়ার একটি যুদ্ধবিমান ভূপাতিত করায় (সিরিয়ার) পরিস্থিতির আরও অবনতি হয়েছে।"

"যেকোনো উপায়ে পরিস্থিতির আরও অবনতি হওয়া আমাদের আটকাতে হবে। অবশ্যই প্রতিটি দেশের নিজ ভূখন্ডের সার্বভৌমত্ব রক্ষার অধিকার রয়েছে। কিন্তু অন্যদিকে, আমরা এও জানি, সিরিয়া ও এর চারপাশে কি ভয়ঙ্কর উত্তেজনাকর পরিস্থিতি বিরাজ করছে। আমি তুরস্কের প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে কথা বলেছি এবং পরিস্থিতির আরও অবনতি ঠেকাতে যা করা দরকার তার সবকিছু করার আহ্বান জানিয়েছি।"

মঙ্গলবার তুরস্কের আকাশসীমা লঙ্ঘন করায় সিরিয়া সীমান্তের কাছে তুর্কি জঙ্গিবিমান থেকে গোলার আঘাতে রাশিয়ার একটি বোমারুবিমান ভূপাতিত হয়।

তুরস্কের সামরিক বাহিনীর দাবি,  বিমানটি ভূপাতিত করার আগে তুর্কি জঙ্গিবিমানগুলো ৫ মিনিটের মধ্যে অন্তত ১০ বার রুশ বিমানটিকে আকাশসীমা লঙ্ঘনের বিষয়ে সতর্ক করেছিল।

আর  মস্কোর দাবি, তাদের বোমারুবিমান তুরস্কের আকাশসীমা লঙ্ঘন করেনি এবং তাদের হাতে এর সপক্ষে প্রমাণও আছে।

যদিও তুরস্ক পরে স্বীকার করে, রুশ বিমানটি মাত্র ১৭ সেকেন্ড সময় তুর্কি আকাশসীমায় ছিল।

রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন এ ঘটনায় ক্ষুব্ধ প্রতিক্রিয়া জানিয়ে বলেন,  ‘সন্ত্রাসীদের দোসররা’ আমাদের পিঠে ছুরি মেরেছে।

এ ঘটনা মস্কো ও আঙ্কারার মধ্যে সম্পর্কে প্রভাব ফেলবে এবং এর ‘ফলাফল গুরুতর’ হবে বলে হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করেন পুতিন।

আর রাশিয়ার হুমকির জবাবে তুরস্কের পাশে থাকার প্রত্যয় জানিয়েছে নেটো।

যুক্তরাষ্ট্রও তুরস্ককে সমর্থন করেছে। যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামা তুরস্কের প্রেসিডেন্টকে ফোন করে বলেছেন, তুরস্কের সার্বভৌমত্ব রক্ষার অধিকারকে যুক্তরাষ্ট্র সমর্থন করে।

তবে উভয় প্রেসিডেন্ট ‘পরিস্থিতি নমনীয় করার গুরুত্ব সম্পর্কেও একমত হয়েছেন’ বলে জানিয়েছে হোয়াইট হাউস।

অর্ধ-শতাব্দীরও বেশি সময়ের মধ্যে রাশিয়ার বিমান ভূপাতিত করা নেটোর প্রথম সদস্যরাষ্ট্র তুরস্ক।