এক প্রতিবেদনে ম্যাকরিউমার্স জানিয়েছে, সুইস প্রতিষ্ঠানের রেজিস্ট্রি নথি থেকে জানা গেছে, ২০১৫ সালের অগাস্টের মধ্যবর্তী সময়েই অ্যাপল ফেইসশিফট প্রতিষ্ঠানটিকে কিনে নিয়েছে।
অ্যাপল ফেইসশিফট কেনা প্রসঙ্গে এক বিবৃতিতে জানিয়েছে, “বিভিন্ন সময় অ্যাপল ক্ষুদ্র ক্ষুদ্র প্রযুক্তি প্রতিষ্ঠান কিনে থাকে এবং আমরা সাধারণত আমাদের উদ্দেশ্য বা পরিকল্পনার ব্যাপারে আলোচনা করি না।”
ফেইসশিফট মূলত গেইম এবং অ্যানিমেশন স্টুডিও’র সঙ্গে কাজ করে থাকে। আরও দ্রুত এবং সুনির্দিষ্টভাবে থ্রিডি সেন্সর ব্যবহার করে স্টুডিওগুলো যাতে ফেশিয়াল এক্সপ্রেশন ধারণ করতে পারে, সেরকম প্রযুক্তি ডিজাইনের দায়িত্ব পালন করত ফেইসশিফট। এ ছাড়াও প্রতিষ্ঠানটি স্কাইপের মতো সফটওয়্যারের জন্যও কাজ করত।
ম্যাকরিউমার্স জানিয়েছে, ফেইসশিফট কেনার পর প্রতিষ্ঠানটির অনেক কর্মকর্তা অ্যাপলের ইউরোপিয়ান অফিসগুলোতে কাজ করছে। এ ছাড়াও এরকম প্রযুক্তিতে কাজ করতে সক্ষম এমন নতুন কর্মকর্তাও নিয়োগ দিচ্ছে অ্যাপল। সম্প্রতি অ্যাপল একজন সিনিয়র সফটওয়্যার প্রকৌশলীকে নিয়োগ দিয়েছে, যিনি মোবাইল ও ডেস্কটপের জন্য ‘কাটিং-এজ ইমেজিং ফটোগ্রাফিক অ্যাপ্লিকেশনস’ নিয়ে কাজ করেন।
তবে অ্যাপল ফেইসশিফটকে ঠিক কী কাজে ব্যবহার করবে, সে বিষয়টি এখনও পরিষ্কার নয় বলেই জানিয়েছে ম্যাকরিউমার্স।