মঙ্গলবার দেশটির রাজধানী তিউনিসে মোহামেদ ভি অ্যাভিনিউয়ের এই বিস্ফোরণ আত্মঘাতী হামলা হতে পারে বলে ধারণা করা হচ্ছে।
বোমা বিস্ফোরণের পর রাজধানীতে সান্ধ্য আইন জারি করে দেশজুড়ে জরুরি অবস্থা ঘোষণা করেন তিউনিসিয়ার প্রেসিডেন্ট বেজি কায়িদ এসেবসি।
বিস্ফোরণের পরপরই নিরাপত্তা বাহিনীগুলো ঘটনাস্থল ঘিরে সব ধরনের চলাচল বন্ধ করে দেয়।
এক বিবৃতিতে দেশটির স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় জানায়, অন্ততপক্ষে ১২ জন রক্ষী নিহত ও আরো ১৭ জন আহত হয়েছেন।
নিরাপত্তা বাহিনীর সূত্রগুলো জানায়, প্রেসিডেন্ট প্রাসাদে যাওয়ার উদ্দেশে শহরতলী থেকে রক্ষীদের বাসে তোলা হচ্ছিল, তখনই বোমা বিস্ফোরণ ঘটিয়ে বাসটি উড়িয়ে দেওয়া হয়।
প্রেসিডেন্ট কার্যালয়ের এক সূত্র বলেছে, সম্ভবত বাসটির ভিতরে নিজের বিস্ফোরক বেল্টের বিস্ফোরণ ঘটিয়েছেন হামলাকারী।
প্রত্যক্ষদর্শী বাসেম ত্রিফি বলেন, “মোহামেদ ভি সড়কে আমিও ছিলাম। আমি আমার গাড়িতে উঠতে যাবো, তখনই বড় ধরনের একটি বিস্ফোরণ ঘটল। তাকিয়ে দেখলাম বাসটি উড়ে গেল। চারদিক লাশ আর রক্তে একাকার হয়ে গেল।”
প্রেসিডেন্ট এসেবসি তার ইউরোপ সফর বাতিল করে রাজধানীতে বুধবার ভোর ৫টা পর্যন্ত সান্ধ্য আইন জারির ঘোষণা দিয়েছেন। পাশাপাশি মাসব্যাপী জরুরি অবস্থা ঘোষণা করেছেন।
চলতি বছর তিউনিসিয়ায় এটি তৃতীয় বড় ধরনের হামলা। আগের দুটি হামলায় দেশটির পর্যটন শিল্পকে লক্ষ্য করে চালানো হয়েছিল।
মার্চে রাজধানীর বার্দো জাদুঘরে পর্যটকদের ওপর বন্দুকধারীদের গুলিবর্ষণে ২১ জন নিহত হন।
এরপর জুনে দেশটির ভূমধ্যসাগরীয় এক অবকাশ কেন্দ্রের সাগরতটের একটি হোটেলে এক বন্দুকধারীর নির্বিচার গুলিবর্ষণে আরো ৩৮ পর্যটক নিহত হন।
ওই দুটি হামলার দায়ই ইসলামিক স্টেট (আইএস) স্বীকার করেছে।
এছাড়া আলজেরীয় সীমান্তের পার্বত্য এলাকায় সক্রিয়া আরেকটি জঙ্গিগোষ্ঠীর বিরুদ্ধে লড়াই করছে দেশটির সেনাবাহিনী। দেশটির প্রত্যন্ত এলাকার সেনা তল্লাশি চৌকিগুলোতে ও টহলদলগুলোকে লক্ষ্য করে বিভিন্ন সময় জঙ্গিরা হামলা চালিয়েছে।