প্যারিসে যুক্তরাজ্যের প্রধানমন্ত্রী ডেভিড ক্যামেরনের সঙ্গে বৈঠক শেষে অলন্দ ফ্রান্সের বিমানবাহী রণতরী শার্ল দ্য গলের আইএস’র বিরুদ্ধে সামরিক অভিযান অংশ নেওয়ার বিষয়টিও নিশ্চিত করেন।
বৈঠকে দুই নেতা কাঁধে কাঁধ মিলেয়ে আন্তর্জাতিক সন্ত্রাস দমনে কাজ করতে একমত হয়েছেন। এছাড়া, তথ্য বিনিময় বাড়ানো এবং বিভিন্ন এয়ারলাইনের রেকর্ড আদান-প্রদানেও একমত হয়েছেন তারা।
বৈঠক শেষে এক সংবাদ সম্মেলনে অলন্দ বলেন, “আমরা বিমান হামলা জোরদার করব। এমন লক্ষ্যবস্তুতে আমরা হামলা করব যাতে এ জঙ্গিদের সম্ভাব্য সবচেয়ে বেশি ক্ষতি করা সম্ভব হয়।”
বেলজিয়াম সোমবার তৃতীয়দিনের মতো সন্ত্রাসের বিরুদ্ধে সর্বোচ্চ সতর্কাবস্থায় থাকার মধ্যে ফ্রান্স এ ঘোষণা দিল।
ক্যামেরন বলেন, “প্রেসিডেন্ট অলন্দ সিরিয়া থেকে আইএস কে নির্মূল করতে চূড়ান্ত হামলা চালানোর যে সিদ্ধান্ত নিয়েছেন, আমি দৃঢ়ভাবে তা সমর্থন করছি। আমার দৃঢ় বিশ্বাস আমাদের এটি করাই উচিত।”
ক্যামেরন ফ্রান্সের বিমান বাহিনীকে আইএস’র বিরুদ্ধে লড়াইয়ে ভূমধ্যসাগরের দ্বীপ সাইপ্রাসে যুক্তরাজ্যের বিমান ঘাঁটি ব্যবহারের প্রস্তাবও দিয়েছেন।
ওদিকে, বেলজিয়ামের কৌঁসুলির বরাত দিয়ে বিবিসি’র খবরে বলা হয়েছে, সন্দেহভাজন সন্ত্রাসীদের ধরতে রোববার রাতে ব্রাসেলস ও শার্লেরুইজুড়ে ২২টি স্থানে অভিযান চালিয়ে ২১ জনকে আটক করেছে পুলিশ।
তবে অভিযানে পুলিশ কোনো ধরনের অস্ত্র বা বিস্ফোরক উদ্ধার করতে পারেনি।
প্যারিস হামলার সন্দেহভাজন হামলাকারী সালাহ আব্দেস্লামও এখনো ধরা ছোঁয়ার বাইরে রয়েছেন।
প্যারিসের মতো হামলার আশঙ্কায় সর্বোচ্চ সতর্কতা জারির পর গত তিন দিন ধরে ব্রাসেলসে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলো বন্ধ রয়েছে, চলছে না মেট্রো রেল।
জাদুঘর, সিনেমা হলসহ বিনোদন কেন্দ্রগুলো বন্ধ থাকায় নিরাপত্তার চাদরে কার্যত অচল হয়ে পড়েছে বেলজিয়ামের রাজধানী।