বিবিসি জানায়, রোববার সকালে হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় ৮৭ বছর বয়সে মারা যান তিনি।
জ্বরে আক্রান্ত কিমকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছিল, পরে রক্তে সংক্রমণ ও হৃদযন্ত্রের ক্রিয়া বন্ধ হয়ে তিনি মারা যান।
১৯৯৩ সাল থেকে ১৯৯৮ সাল পর্যন্ত তিনি দক্ষিণ কোরিয়ার প্রেসিডেন্ট ছিলেন। প্রেসিডেন্ট হওয়ার আগে কয়েক দশক ধরে তিনি দক্ষিণ কোরিয়ার সামরিক শাসকদের বিরুদ্ধে পরিচালিত গণতান্ত্রিক আন্দোলনে নেতৃত্ব দেন এবং গণাতান্ত্রিক সংস্কারের জন্য চাপ সৃষ্টি করেন।
গণতান্ত্রিক আন্দোলনে ভূমিকার জন্য ১৯৮০-র দশকে দুইবার তাকে গৃহবন্দি করেছিল সামরিক জান্তা।
কিন্তু প্রেসিডেন্ট মেয়াদের শেষ পর্যায়ে সামরিক বাহিনীর অভিযুক্ত দুই ‘লৌহমানব’, চুন ডো হওয়ান ও রোহ তায়ে উ-কে বিদ্রোহ ও দেশদ্রোহীতার অভিযোগ থেকে মুক্তি দেন তিনি।
একবার উত্তর কোরিয়ার নিউক্লিয়ার স্থাপনায় হামলা চালানোর পরিকল্পনা করেছিল যুক্তরাষ্ট্রের সামরিক বাহিনী, কিন্তু এ ধরেনের পদক্ষেপে কোরীয় উপদ্বীপে সর্বাত্মক যুদ্ধ ছড়িয়ে পড়তে পারে বিবেচনায় কিম এর বিরোধীতা করেছিলেন।