রোববার এক উদ্ধারকারী কর্মকর্তার বরাতে বার্তা সংস্থা রয়টার্স শেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত আরও ১০০ জন নিখোঁজ রয়েছে বলে জানিয়েছে।
এ দিন ভোররাত ৩টার দিকে কাচিনের হপকান্ত এলাকার একটি খনিতে এ দুর্ঘটনা ঘটে।
খনির আবর্জনার স্তূপে ঘটা ওই ভূমিধসের কারণ পরিষ্কার নয় বলে এক প্রত্যক্ষদর্শীর বরাতে জানিয়েছে বিবিসি।
ভূমিধসে আবর্জনার স্তূপের পাশের অনেকগুলো কুঁড়েঘর চাপা পড়ে। এসব ঘরে খনিকর্মীরা ঘুমিয়ে ছিল বলে ধারণা করা হচ্ছে। তবে বিবিসি জানিয়েছে, নিহতদের অনেকেই আবর্জনার স্তূপে পান্নার পরিত্যক্ত খণ্ডাংশ খুঁজে সেগুলো বিক্রি করে জীবন চালাতেন।
হপকান্ত টাউনশিপ দমকলের নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক কর্মকর্তা টেলিফোনে রয়টার্সকে বলেন, “ধসে পড়া আবর্জনার ভিতর থেকে এ পর্যন্ত ৯৯ জনের লাশ উদ্ধার করেছি। আর নিখোঁজদের খোঁজে তল্লাশি চালিয়ে যাচ্ছি। নিহতের সংখ্যা আরও বাড়তে পারে।”
ঘটনাস্থল কাচিন রাজ্যের ওই অংশটির যোগাযোগ ব্যবস্থা অপ্রতুল হওয়ায় বিস্তারিত কিছু জানা যায়নি। মিয়ানমারের এই রাজ্যটিতে বিশ্বের সর্বোৎকৃষ্ট কিছু পান্না পাওয়া যায়, তবে এখানে প্রায়ই ভূমিধসের ঘটনা ঘটে।