কুকুরের সঙ্গে বেড়ে ওঠা শিশুদের হাঁপানির ঝুঁকি কম

যে পরিবারে পোষা কুকুর আছে সেই পরিবারের শিশুদের পোষা কুকুর নেই এমন পরিবারের শিশুদের তুলনায় হাঁপানি হওয়ার ঝুঁকি ১৫ শতাংশ কম।

নিউজ ডেস্কবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 3 Nov 2015, 04:31 PM
Updated : 3 Nov 2015, 04:31 PM

সুইডেনের একদল গবেষক নতুন এক গবেষণায় এ তথ্য পেয়েছেন।

শৈশবে প্রাণীদের সংস্পর্শে বড় হওয়ার সঙ্গে হাঁপানি হওয়ার ঝুঁকি কতটুকু তা খতিয়ে দেখতেই মূলত এ গবেষণা চালানো হয়। এজন্য গবেষকরা সুইডেনের ১০ লাখের বেশি শিশুর সরকারিভাবে রেকর্ড করা তথ্য বিশ্লেষণ করেন বলে জানিয়েছে এনডিটিভি।

গবেষণায় দেখা গেছে, যেসব শিশু কুকুরের সংস্পর্শে থেকে বেড়ে উঠেছে তাদের ক্ষেত্রে কুকুর ছিল না এমন শিশুদের তুলনায় হাঁপানি হওয়ার ঝুঁকি ১৫ শতাংশ কমেছে।

সুইডেনে প্রত্যেক নাগরিকের একটি আলাদা নম্বর থাকে। দেশটিতে যখনই কেউ চিকিৎসকের কাছে যান তখন তার রোগ ও ব্যবস্থাপত্রের তথ্য জাতীয় তথ্য কেন্দ্রে রেকর্ড হয়ে যায়।

গবেষকরা সরকারিভাবে সংগ্রীহিত এমন নয়টি ভিন্ন ভিন্ন উৎস থেকে পাওয়া তথ্য-উপাত্তের ভিত্তিতে এ গবেষণা পরিচালনা করেছেন।

গবেষকদের একজন উপসালা বিশ্ববিদ্যালয়ের সহকারী অধ্যাপক টোভ ফল বলেন, "আগের গবেষণাগুলোতে দেখা গেছে, খামারে বড় হওয়া শিশুদের পরবর্তী জীবনে হাঁপানি হওয়ার ঝুঁকি প্রায় অর্ধেক কমে যায়।

আমরা দেখতে চেয়েছিলাম, বাড়িতে পোষা কুকুরের সঙ্গে বড় হওয়া শিশুদের ক্ষেত্রেও এই তত্ত্ব কতটা কার্যকর।"

"আমাদের গবেষণা হাঁপানির ঝুঁকি কমাতে খামারের ভূমিকাকে আরও নিশ্চিত করেছে। সেইসঙ্গে পোষা কুকুরের সঙ্গে বড় হওয়া শিশুদের বেলায়ও এর ইতিবাচক প্রভাব পাওয়া গেছে।"

ঊর্ধ্বতন গবেষক কাটারিনা আলমকভিস্ট মালমোস বলেন, "আমরা জানি যেসব শিশুর অ্যালার্জির সমস্যা আছে তাদের বিড়াল বা কুকুর থেকে দূরে থাকা উচিত। কিন্তু আমাদের গবেষণা ফলে এও দেখা গেছে যে, কুকুরের সঙ্গে বেড়ে ওঠা শিশুদের পরবর্তী জীবনে হাঁপানি হওয়ার ঝুঁকি কমে গেছে।"

"তবে আমাদের এ গবেষণা ফল সাধারণভাবে সুইডেনের জন্য প্রযোজ্য এবং সম্ভবত একই ধরনের পরিবেশ ও সংস্কৃতির ধারক ইউরোপের অন্যান্য দেশগুলোর জন্য প্রযোজ্য।"

২০০১ সাল থেকে সুইডেনে কুকুর পুষতে গেলেও আগে এ বিষয়ে নিবন্ধন করাতে হয়।