যুক্তরাষ্ট্রে টর্নেডো ও বৃষ্টিপাতে দুইজনের মৃত্যু

যুক্তরাষ্ট্রের টেক্সাস অঙ্গরাজ্যে দক্ষিণপশ্চিম এলাকায় টর্নেডো ও ব্যাপক বৃষ্টিপাতে সৃষ্ট আকস্মিক বন্যায় অন্ততপক্ষে দুইজনের মৃত্যু হয়েছে। 

>>রয়টার্স
Published : 31 Oct 2015, 06:09 AM
Updated : 31 Oct 2015, 06:09 AM

শুক্রবার অঙ্গরাজ্যটির সান আন্তোনিয়ো শহর ও আশপাশের এলাকার উপর দিয়ে টর্নেডো বয়ে যাওয়ার পাশাপাশি ব্যাপক বৃষ্টিপাত হয়। 

প্রচণ্ড বৃষ্টিপাতে নদীর পানি উপচে মহাসড়ক তলিয়ে যায়, বন্যার কারণে লোকজন নিরাপদ স্থানে সরে যেতে বাধ্য হন। অপরদিকে টর্নেডো সান আন্তোনিয়ো শহরের বাইরের এলাকাগুলোর ঘরবাড়ি উড়িয়ে নেয়। 

ট্রাভিস কাউন্টির জরুরি বিভাগের একজন কর্মকর্তা জানিয়েছেন, অস্টিন শহরের দক্ষিণপূর্বে বন্যার পানির তোড়ে ভেসে যাওয়া একটি গাড়ির মালিকের লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। এ ঘটনায় এক বৃদ্ধা নারী নিখোঁজ রয়েছেন। 

যুক্তরাষ্ট্রের সামরিক বাহিনীর কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, সান আন্তোনিয়োর কাছে দ্রুত নেমে আসা বন্যার পানির তোড়ে ভেসে যাওয়া আরেকটি গাড়ির এক আরোহীর লাশ শুক্রবার বিকেলে ক্যাম্প বুলিস থেকে উদ্ধার করা হয়েছে। 

কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, রাজধানী অস্টিনের দক্ষিণাঞ্চলের এলাকাগুলোতে অল্প কয়েক ঘণ্টায় ৩৩ সেন্টিমিটার বৃষ্টিপাত হয়। এতে বাড়তে থাকা বন্যার পানির তোড় থেকে অন্ততপক্ষে ৪০ জনকে উদ্ধার করা হয়।  

যুক্তরাষ্ট্রের ভূতাত্ত্বিক জরিপ সংস্থা জানিয়েছে, অল্প সময়ের ব্যাপক বৃষ্টিপাতে নদীর পানির বৃদ্ধি কোথাও কোথাও রেকর্ড পরিমাণ হলেও শুক্রবার বিকেলের পর পানি নামতে শুরু করে।

ব্লাঙ্কো ও সান মার্কোস নদীর তীর বরাবর বসবাসকারী কয়েকশত পরিবারকে ঘরবাড়ি ছেড়ে আশ্রয়কেন্দ্রে চলে যাওয়ার নির্দেশ দিয়েছে হেইস কাউন্টির কর্তৃপক্ষ। 

ওদিকে সান আন্তোনিয়োর ৪৮ কিলোমিটার দক্ষিণপূর্বে ফ্লোরেসভিলে টর্নেডোর তাণ্ডবে একটি হাইস্কুলের দেয়াল ধসে পড়েছে ও একটি পার্কের কিছু স্থাপনা একিট হোটেলের ছাদে গিয়ে পড়েছে। 

এছাড়া সান আন্তোনিয়োর পূর্বে টর্নেডোয় পাঁচটি বাড়ি গুঁড়িয়ে গেছে ও অপর ২০টি বাড়ি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। 

টর্নেডোর কারণে অস্টিনের প্রধান বিমানবন্দরের কার্যক্রম কয়েক ঘণ্টা বন্ধ থাকে। টর্নেডো চলার সময় বৃষ্টিপাতে বিমানবন্দরটি ১৫ সেন্টিমিটার উচ্চতার পানিতে তলিয়ে যায়।