সংক্রামক ব্যাধিতে মৃত্যু: শীর্ষে এইডস ও যক্ষ্মা

প্রথমবারের মতো বিশ্বে সংক্রামক ব্যাধিতে মৃত্যুর প্রধান কারণ হিসেবে এইচআইভি/এইডস রোগের পরে যক্ষ্মা রোগকে চিহ্নিত করা হয়েছে।

>>রয়টার্স
Published : 29 Oct 2015, 08:44 AM
Updated : 29 Oct 2015, 08:44 AM

বুধবার প্রকাশিত এক প্রতিবেদনে এইচআইভি/এইডসের পরে সবচেয়ে প্রাণঘাতী সংক্রামক হিসেবে যক্ষ্মা রোগকে উল্লেখ করেছে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (ডব্লিউএইচও) । 

প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ২০১৪ সালে বিশ্বব্যাপী এইচআইভি/এইডস রোগে ১২ লাখ মানুষের মৃত্যু হয়েছে, আর একই সময় যক্ষ্মায় মারা গেছেন ১১ লাখ মানুষ। মৃত এসব মানুষের মধ্যে চার লাখ একইসঙ্গে দুটি রোগেই আক্রান্ত ছিলেন।   

একদশকে এইচআইভি/এইডস রোগের চিকিৎসা উন্নত হওয়ায় রোগটিতে মৃতের সংখ্যা নাটকীয়ভাবে কমে এসেছে, প্রতিবেদনে এটি প্রতিফলিত হয়েছে বলে দাবি করেছেন ডব্লিউএইচও-র যক্ষ্মা কর্মসূচির পরিচালক ডাঃ মারিও রাভিজলিওনি।

এইচআইভি/এইডস রোগের চিকিৎসা উন্নত হওয়ায় আক্রান্ত অনেক মানুষ বেঁচে গেছেন বলে জানিয়েছেন তিনি।
 
কিন্তু এ বিষয়টি একইসঙ্গে বিশ্বের দুটি শীর্ষ প্রাণঘাতী রোগ নিরাময়ের ক্ষেত্রে তহবিলের অসমতাও তুলে ধরেছে বলে উল্লেখ করেন তিনি।   

এক টেলিফোন সাক্ষাৎকারে ডাঃ রাভিজলিওনি জানান, ২০০০ সালের পর থেকে এ পর্যন্ত ৪ কোটি ৩০ লাখ যক্ষ্মা রোগীকে বাঁচানো গেলেও রোগটিতে মৃতের সংখ্যা ‘অপ্রত্যাশিতভাবে’ এখনও অনেক বেশি। 

যক্ষ্মার অধিকাংশ সংক্রমণই নিরাময়যোগ্য বলে জানান তিনি। 

প্রতিবেদনে বিশ্বের ২০৫টি দেশ ও অঞ্চলের যক্ষ্মা রোগ সংক্রান্ত তথ্য তুলে ধরা হয়। এসব তথ্যের মধ্যে যক্ষ্মার ওষুধপ্রতিরোধী ধরন, গবেষণা এবং উন্নয়ন ও অর্থায়নের বিষয়গুলোও ছিল। 

এতে দেখা যায় ২০১৪ সালে ডব্লিউএইচও-র কাছে ৬০ লাখ নতুন যক্ষ্মা সংক্রমণের খবর এসেছে। এটি এর আগের বছরের সংক্রমণের (৯৬ লাখ) দুই-তৃতীয়াংশ থেকেও কিছু কম। এদের মধ্যে চার লাখ ৮০ হাজারের সংক্রমণের ধরন ওষুধপ্রতিরোধী।  

যক্ষ্মা প্রতিরোধে তহবিলের অসমতা একটি প্রধান ইস্যু বলে মনে করেন ডাঃ রাভিজলিওনি। তিনি জানান, এইচআইভি/এইডসের জন্য আন্তর্জাতিক তহবিলের পরিমাণ যক্ষ্মার তহবিলের ১০ গুণ বেশি।

তিনি বলেন, এইচআইভি/এইডস প্রতিরোধে যেখানে বার্ষিক ৮০ লাখ ডলার ব্যবহার করা হয় সেখানে যক্ষ্মা প্রতিরোধে মাত্র আট লাখ ডলার ব্যয় করা হয়।