চলতি বছরের মে মাসে ভারতের খাদ্য নিরাপত্তা কর্তৃপক্ষ ইন্সট্যান্ট ম্যাগি নুডলসে স্বাস্থ্যের জন্য ক্ষতিকর মাত্রায় সীসা রয়েছে দাবি করে খাদ্যপণ্যটি সারা ভারতে নিষিদ্ধ করেছিল।
তখন জনপ্রিয় এই নুডলসে গ্রহণযোগ্য মাত্রার বেশি সীসা ও মনো-সোডিয়াম গ্লুটামেট (এমএসজি) থাকার বিষয়টি অস্বীকার করে নেসলে বলেছিল, শিগগিরই তারা আবারও বাজারে ফিরে আসবে।
পরবর্তী সময়ে অগাস্টে বোম্বে আদালত ওই নিষেধাজ্ঞা বাতিল করে রায় দেয়।
ভারতের বাজারে বছরে দেড় হাজার কোটি রুপির নুডলস বিক্রি করে নেসলে। বিবিসির এক প্রতিবেদনে বলা হয়, ভারতের বাজারে বিক্রি হওয়া নুডলসের ৮০ শতাংশই ম্যাগি। পরিস্থিতি এমন যে, ভাত আর ডালের পর ম্যাগিই যেন ভারতীয়দের তৃতীয় প্রধান খাদ্য হয়ে উঠেছিল।
বিবিসি বলছে, খাদ্যপণ্যটি নিষিদ্ধ করার পর প্রতিষ্ঠানটি ৪০ কোটি ম্যাগি নুডলসের প্যাকেট ধ্বংস করে।
চলতি মাসের শুরুর দিকে নেসলে এক বিবৃতিতে জানিয়েছে, পরীক্ষায় ইন্সট্যান্ট ম্যাগি নুডলস উৎরে গেছে। আদালত খাদ্যপণ্য নিরাপদ বলে রায় দিয়েছে।
ভারতের উত্তর প্রদেশের খাদ্য নিরাপত্তা ও ওষুধ প্রশাসনের (এফডিএ) পরীক্ষায় নেসলে ইন্ডিয়ার তৈরি নুডলসে উচ্চমাত্রার সীসা পাওয়ার পর চলতি বছরের ২০ মে পণ্যটি বাজার থেকে সরানোর নির্দেশ দিয়েছিল।
ওই ঘটনার পর বাজার থেকে ম্যাগি সরিয়ে নেওয়ার ঘোষণা দিয়ে নেসলে ইন্ডিয়ার এক বিবৃতিতে বলেছিল, “ম্যাগি নুডলস পুরোপুরি নিরাপদ। কিন্তু সাম্প্রতিক ঘটনাপ্রবাহে ক্রেতাদের মধ্যে বিভ্রান্তি তৈরি হওয়ায় আমরা আপাতত পণ্যটি সরিয়ে নিচ্ছি।”
এই বিতর্কের ‘সুরাহা হওয়ার পর’ শিগগিরই ম্যাগি আবার ‘বাজারে ফিরবে’ বলেও নেসলের বিবৃতিতে উল্লেখ করা হয়েছিল।
বিবিসি জানায়, ভারতে নেসলের ব্যবসা শুরু হয়েছিল একশ বছরেরও বেশি সময় আগে, ১৯১২ সালে। নেসলে অ্যাংলো সুইস কনডেনসড মিল্ক ছিল ভারতে তাদের প্রথম উদ্যোগ।
ইন্সট্যান্ট নুডলস ভারতের বাজারে প্রথম আসে ১৯৮৩ সালে।