সংস্থাটির প্রতিবেদনে বলা হয়, বিশ্ব উষ্ণায়ন বাড়ার কারণে তুষার চিতাবাঘের আবাসস্থল সংকুচিত হয়ে যাচ্ছে এবং বিরূপ প্রকৃতির বিরুদ্ধে তাদের লড়াইয়ের ক্ষমতা কমে যাচ্ছে।
জলবায়ুর পরিবর্তনের কারণে পর্বতে বসবাসকারী প্রাণীদের এক-তৃতীয়াংশের আবাসস্থল নষ্ট হয়ে গেছে। উষ্ণ আবহাওয়ার কারণে অনেক গাছ-গাছালি মারা যাচ্ছে।
ডব্লিউডব্লিউএফ'র প্রতিবেদনে তুষার চিতাবাঘকে বিশ্বের সবচেয়ে সুন্দর ও রহস্যময় প্রাণীগুলোর একটি হিসেবে বর্ণনা করা হয়। কিন্তু একই সঙ্গে এটি সবচেয়ে দুর্লভ ও বিপন্ন প্রাণী।
তবে শুধু জলবায়ু পরিবর্তনই নয় বরং আরও বেশ কিছু কারণে তুষার চিতাবাঘ বিলুপ্ত হয়ে যাচ্ছে বলে জানায় ডব্লিউডব্লিউএফ।
প্রতিবেদনে বলা হয়, মানুষের যাতায়াত বেড়ে যাওয়ায় তুষার চিতাবাঘের আবাস (বিশেষ করে হিমালয়ের পূর্বাঞ্চলে) নষ্ট হয়ে যাচ্ছে। এছাড়া, প্রাকৃতিকভাবে খাদ্যের যোগান কমে যাওয়ায় তুষার চিতাবাঘেরা মাঝেমধ্যে জীবিত প্রাণীর উপর হামলা করছে। ফলে স্থানীয় লোকজন তাদের পিটিয়ে হত্যা করছে। পাচারের উদ্দেশ্যেও তুষার চিতাবাঘ হত্যা করা হচ্ছে।
প্রতিবেদনে আরও বলা হয়, জলবায়ু পরিবর্তনের কারণেই মূলত তুষার চিতাবাঘের অস্তিত্ব হুমকির মুখে পড়েছে। ভবিষ্যতে এই হুমকি আরও বাড়বে এবং অনেক এলাকা থেকে রহস্যময় এই প্রাণীটি হারিয়ে যাবে।
যুক্তরাজ্য ভিত্তিক ডব্লিউডব্লিউএফ'র তুষার চিতাবাঘ প্রকল্পের প্রধান রেবেকা মে বলেন, "যদি আমরা জলবায়ু পরিবর্তনকে আমলে না নেই তবে হিমালয় অঞ্চল বড় ধরনের সঙ্কটের মুখে পড়বে। শুধু যে তুষার চিতাবাঘের মতো দুর্লভ প্রাণীদের জীবনই হুমকির মুখে পড়বে তা নয় বরং যেখানে বসবাসকারী মানুষজনও সঙ্কটে পড়বে।"
পরিসংখ্যান অনুযায়ী, মধ্য ও দক্ষিণ এশিয়ার পর্বতগুলোতে বর্তমানে প্রায় চার হাজার তুষার চিতাবাঘ রয়েছে। সারা বিশ্বে এ সংখ্যা প্রায় ছয় হাজার।