অ্যাঙ্গাস ডিটনের অর্থনীতিতে নোবেল জয়

ভোক্তার রুচি বিশ্লেষণ করে দারিদ্র্য নির্মূলের পথ দেখানোয় অর্থনীতির নোবেল পেলেন ব্রিটিশ বংশোদ্ভূত অর্থনীতিবিদ অ্যাঙ্গাস ডিটন।

নিউজ ডেস্কবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 12 Oct 2015, 12:15 PM
Updated : 13 Oct 2015, 05:46 AM

রয়্যাল সুইডিশ অ্যাকাডেমি অব সায়েন্সেস সোমবার এই পুরস্কারের জন্য ব্রিটিশ ও মার্কিন নাগরিকত্বের অধিকারী এই অর্থনীতিবিদের নাম ঘোষণা করে।  

এডিনবরায় জন্ম নেওয়া ডিটন যুক্তরাষ্ট্রের প্রিন্সটন ইউনিভার্সিটির অর্থনীতি ও আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিভাগের অধ্যাপক।

রয়্যাল সুইডিশ অ্যাকাডেমি বলেছে, তার গবেষণা বিভিন্ন ক্ষেত্রেই নীতি নির্ধারণী পরিকল্পনা নিতে  প্রভাবকের ভূমিকায় ছিল। যেমন, খাদ্যে অতিরিক্ত মূল্য সংযোজন করের কারণে সমাজের কারা ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছেন তা নিয়েও তিনি ভেবেছেন, দেখিয়েছেন পথ।

“কল্যাণ বয়ে আনার পাশাপাশি এবং দারিদ্র্য দূরীকরণে অর্থনৈতিক কৌশল প্রণয়ন করতে হলে আমাদের প্রথমই ধারণায় নিতে হয় ব্যক্তির রুচির বিষয়টি। আর অ্যাঙ্গাস ডিটন ভোক্তার রুচি বিশ্লেষণ এবং তা বোধগম্য হওয়ার মতো করে উপস্থাপন করেছেন।”

রীতি অনুযায়ী আগামী ১০ ডিসেম্বর অ্যাঙ্গাস ডিটনের হাতে নোবেল পুরস্কারের ৮০ লাখ সুইডিশ ক্রোনার তুলে দেওয়া হবে।

উন্নয়নশীল বিভিন্ন দেশের মানুষের ব্যয়ের তথ্য নিয়ে সমীক্ষা চালিয়ে তাদের জীবনমান ও দারিদ্র্য নিরূপণেও অ্যাঙ্গাস ডিটনের উল্লেখযোগ্য গবেষণা রয়েছে।

এই পুরস্কার দেওয়ার পেছনে তিনটি বিষয় প্রাধান্য পেয়েছে।

প্রথমটি হল একজন ভোক্তা কীভাবে বিভিন্ন পণ্য ক্রয়ের ক্ষেত্রে অর্থ ব্যয় করেন? ব্যয়ের খাতগুলো বিশ্লেষণ করা বা ব্যয়খাত কেমন হওয়া উচিত তা নির্ধারণের মধ্যেই কেবল এই প্রশ্নের উত্তর সীমাবদ্ধ নয়, বরং এক্ষেত্রে কী কৌশল নেওয়া যায় সেটিই মুখ্য।

১৯৮০ সালের দিকে এ বিষয়ের উপর তার কাজের শুরুতে একটি ‘আদর্শ চাহিদা পদ্ধতি’ তৈরি করেন, যাতে কীভাবে ব্যক্তির আয় এবং প্রতিটি পণ্যের মূল্য চাহিদার সঙ্গে সম্পর্কযুক্ত তার একটি নমনীয় ও সহজ পথ দেখিয়েছেন ডিটন।

দ্বিতীয় বিষয়টি হল- আয়ের কী পরিমাণ ব্যয় হয় এবং এর কতটা সঞ্চয় হয়? ব্যবসার মূলধন এবং এর মাত্রা বিশ্লেষণের জন্য সময়ের সঙ্গে আয় ও ব্যয়ের পারস্পরিক সম্পর্ক বের করতে ডিটন কাজ করেছেন।

এছাড়া তৃতীয় বিষয় হিসেবে কল্যাণ ও দারিদ্র্যকে কীভাবে পরিমাপ ও বিশ্লেষণ করা যায় সে প্রশ্নের উত্তর খুঁজেছেন তিনি।