কুন্দুজে ‘যুদ্ধাপরাধ’ তদন্তের দাবি এমএসএফ’র

নিরপেক্ষ একটি আন্তর্জাতিক সত্যানুসন্ধান কমিশন গঠন করে আফগানিস্তানের কুন্দুজ শহরের হাসপাতালে যুক্তরাষ্ট্রের বিমান হামলার ঘটনায় ‘যুদ্ধাপরাধ’ তদন্তের দাবি জানিয়েছে মিতস সঁ ফঁতিয়া (এমএসএফ)।

নিউজ ডেস্কবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 7 Oct 2015, 12:59 PM
Updated : 7 Oct 2015, 12:59 PM

দাতব্য এ চিকিৎসা সংগঠনটি বলেছে, জেনেভা কনভেনশনের আওতায় কোনো  একটি রাষ্ট্রের অনুরোধে নিরপেক্ষ ওই কমিশন গঠন করতে হবে এবং কমিশনটি যুক্তরাষ্ট্র, নেটো ও আফগানিস্তান থেকে তথ্য-প্রমাণ যোগাড় করবে।

শুধুমাত্র তারপরই এমএসএফ কর্তৃপক্ষ সিদ্ধান্ত নেবে তারা জানমালের ক্ষয়ক্ষতির জন্য আদালতের দ্বারস্থ হবে কিনা।

মঙ্গলবার কুন্দুজে এমএসএফ পরিচালিত হাসপাতালে বিমান হামলা হয়। হামলায় হাসপাতালটির ২২ কর্মী ও রোগী নিহত হয়। আহত হয় আরো বেশ কয়েকজন।

রোববার যুক্তরাষ্ট্রের সেনাবাহিনী এ হামলার দায় স্বীকার করে বলেছে, ভুল করে এ হামলা চালানো হয়েছিল এবং এর জন্য দায়ীদের অবশ্যই শাস্তি দেয়া হবে।  

এর জবাবে এমএসএফ'র পক্ষ থেকে বলা হয়, তাদের হাসপাতালটির কার্যক্রম সম্পর্কে সবাই জানত। তাই হাসপাতালে বোমা ফেলা কোনোভাবেই ভুল হতে পারে না।

দাতব্য কাজের জন্য ১৯৯৯ সালে এমএসএফ শান্তিতে নোবেল পুরস্কার পায়।

হাসপাতালে বোমা হামলা চালানোর ধৃষ্টতাকে তারা ‘যুদ্ধাপরাধ’ বলেই মনে করছে এবং এর ভিত্তিতেই তারা ধাপে ধাপে এগুচ্ছে।

কুন্দুজ হাসপাতলে হামলার ঘটনার একাধিক তদন্ত এরই মধ্যে শুরু হয়েছে। তদন্ত চালাচ্ছে যুক্তরাষ্ট্রের বিচারবিভাগ, পেণ্টাগন, নেটো এবং আমেরিকান-আফগান তদন্ত দল।

কিন্তু এমএসএফ এর প্রধান জোয়ান লিউ জেনেভায় এক সংবাদ সম্মেলনে সাংবাদিকদের বলেছেন, ‍‍ “আমরা যুক্তরাষ্ট্র, নেটো এবং আফগান বাহিনীর অভ্যন্তরীন সামরিক তদন্তের ওপর ভরসা করতে পারি না।”

তিনি পরিষ্কার করে বলেন, আন্তর্জাতিক মানবতা আইনের লঙ্ঘন বিশেষভাবে তদন্ত করার একমাত্র স্থায়ী কমিশন হচ্ছে ১৯৯১ সালে প্রতিষ্ঠিত আইএইচএফএফসি।

লিউ আরো বলেন, সত্য প্রতিষ্ঠিত করার জন্য আমরা সংশ্লিষ্ট দেশগুলোকে ওই কমিশনকে সক্রিয় করে তোলার অনুরোধ জানাচ্ছি।

"আমরা এ ঘটনাকে আমল না দিলে সেটি হবে, যুদ্ধের মধ্যে যে কোনো দেশকে খালি চেক ধরিয়ে দেয়া।"

যদিও এখন পর্যন্ত স্বাধীন তদন্ত কমিশন গঠনের কোনো প্রতিশ্রুতি কেউ দেয়নি বলেও জানান তিনি।