মঙ্গলবার ইন্দোনেশিয়ার স্বাস্থ্যমন্ত্রী নিলা মোলোক এ তথ্য জানিয়ে বলেন, "শ্বাসকষ্টে ভুগছে এমন রোগীর সংখ্যা তিন সপ্তাহ আগের তুলনায় ১৫ থেকে ২০ শতাংশ বেড়ে গেছে।"
সেপ্টেম্বরে ইন্দোনেশিয়ার সুমাত্রা ও বর্নেও দ্বীপের বনাঞ্চলের আগুন থেকে এ ধোঁয়াশা শুরু হয়।
সিনহুয়া বার্তা সংস্থার খবরে বলা হয়, দেশজুড়ে এ সমস্যা সমাধানে বড় ধরনের ব্যবস্থা গ্রহণে বাধ্য হচ্ছে ইন্দোনেশিয়া সরকার।
দেশটির বাকি পাঁচটি প্রদেশের তুলনায় দক্ষিণ সুমাত্রার অধিবাসীরাই শ্বাসকষ্টে বেশি ভুগছে। সেখনে রেকর্ড ৮৩, ২৭৬ মানুষ শ্বাসযন্ত্রের সমস্যায় আক্রান্ত।
আর মঙ্গলবার প্রকাশিত পরিসংখ্যান অনুযায়ী সারা দেশে এ সংখ্যা ৩০৭,৩৬০।
মোলেকো জানান, সুমাত্রা ও বর্নেও দ্বীপের অধিবাসীদের জন্য স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় থেকে কয়েক টন ওষুধ এবং হাজার হাজার মাস্ক পাঠানো হয়েছে।
সিঙ্গাপুর এবং মালয়েশিয়াতেও ছড়িয়ে পড়েছে এ ধোঁয়াশা।
ইন্দোনেশিয়ার সুমাত্রা দ্বীপে পামচাষের জন্য বন ও অন্যান্য জমি অবৈধভাবে আগুন দিয়ে পুড়িয়ে পরিস্কার করা হয়। শুষ্ক মৌসুমে এটি ওই অঞ্চলের একটি দীর্ঘস্থায়ী সমস্যা।
এ ধরনের ঘটনায় জড়িত চারটি কৃষি খামারকে এরই মধ্যে শাস্তি দিয়েছে ইন্দোনেশিয়া।
আগুন নিয়ন্ত্রণে অংশ নিচ্ছে হেলিকপ্টার, বিমান এবং হাজার হাজার সেনা । কিন্তু শুষ্ক আবহাওয়া, পানির অভাব এবং বিশাল এলাকা জুড়ে আগুন ছড়িয়ে পড়ায় কাজটি কঠিন হয়ে পড়েছে।