রেকর্ড বৃষ্টি, যুক্তরাষ্ট্রে ৮ জনের মৃত্যু

যুক্তরাষ্ট্রের পূর্ব উপকূলীয় অঞ্চলের সাউথ ক্যারোলাইনা অঙ্গরাজ্যের প্রবল বৃষ্টিপাত হয়েছে, এতে দক্ষিণ ও উত্তর ক্যারোলাইনায় অন্তত আটজন মারা গেছেন।

>>রয়টার্স
Published : 5 Oct 2015, 04:25 AM
Updated : 5 Oct 2015, 05:03 AM

রোববারের এই প্রবল বৃষ্টিপাতের পূর্বাভাসে চলমান বন্যা পরিস্থিতির আরো অবনতি হতে পারে আশঙ্কায় অঙ্গরাজ্যটিতে আগেই জরুরি অবস্থা ঘোষণা করেছিলেন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামা।  

যে পরিমাণ বৃষ্টিপাত হয়েছে তা এক হাজার বছরে একবারই হতে পারে বলে মন্তব্য করেছেন সাউথ ক্যারোলাইনার গভর্নর নিক্কি হ্যালে।  

ক্যারিবীয় অঞ্চলের ঘূর্ণিঝড় জোয়াকুইনের প্রভাবে শুক্রবার থেকে সাউথ ক্যারোলাইনার কেন্দ্রীয় এলাকাগুলোতে ৫০ সেন্টিমিটারেরও বেশি বৃষ্টিপাত হয়েছে বলে জানিয়েছে যুক্তরাষ্ট্রের জাতীয় আবহাওয়া বিভাগ। বৃষ্টির ধারা কমে আসতে শুরু করলেও সোমবার সারাদিনে আরো পাঁচ থেকে ১৫ সেন্টিমিটার বৃষ্টিপাত হতে পারে বলে পূর্বাভাস দিয়েছেন সাউথ ক্যারোলাইনার রাষ্ট্রীয় আবহাওয়াবিদ।    

অঙ্গরাজ্যের কনগারি নদীর পানি ১৯৩৬ সালের পর থেকে সর্বোচ্চ উচ্চতায় পৌঁছেছে জানিয়ে গভর্নর নিক্কি স্থানীয় বাসিন্দাদের ‘বাড়িতে থাকলে বাড়িতেই অবস্থান’ করার পরামর্শ দিয়েছেন।  

এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি বলেছেন, “বাইরে গিয়ে ছবি তোলার বিষয় না এটি।”

বৃষ্টিপাতজনিত কারণে সাউথ ক্যারোলাইনায় ছয়জন মারা যাওয়ার খবর পাওয়া গেছে, এদের মধ্যে চারজন সড়ক দুর্ঘটনায় নিহত হয়েছেন। নর্থ ক্যারোলাইনায় আরো দুজনের মৃত্যু হয়েছে বলে জানিয়েছেন কর্মকর্তারা।

প্রবল বৃষ্টিপাতে সৃষ্ট বন্যায় অঙ্গরাজ্যের চার্লসটাউন ও জর্জটাউনের মধ্যবর্তী উপকূলীয় মহাসড়ক ডুবে গেছে বলে জানিয়েছে আবহাওয়া বিভাগ। নয় হাজার বাসিন্দার জর্জটাউনের অধিকাংশ এলাকাই পানির নিচে তলিয়ে গেছে। শহরটিতে যাওয়ার চারটি প্রধান মহাসড়ক বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে।

অঙ্গরাজ্যের রাজধানী কলম্বিয়াও বন্যাক্রান্ত হয়েছে। এখানে কনগারি নদীর পানি ১২ ঘন্টায় তিন মিটার (১০ ফুট) বেড়ে গেছে বলে জানিয়েছেন স্থানীয় কর্মকর্তারা। ওয়েবসাইটে শহরের বাসিন্দাদের পানি ফুটিয়ে পান করার পরামর্শ দিয়েছে নগর কর্তৃপক্ষ।  

সড়কগুলোতে ভ্রমণ ঝুঁকিপূর্ণ হওয়ায় অঙ্গরাজ্যের জরুরি বিভাগের কর্মকর্তারা স্থানীয় বাসিন্দাদের ভ্রমণ না করার পরামর্শ দিয়েছেন। কলম্বিয়াসহ অঙ্গরাজ্যের আটটি শহরে সান্ধ্য আইন জারি করা হয়েছে।

স্কুল ও বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর সোমবারের ক্লাশ বাতিল করা হয়েছে।