অ্যাটর্নি জেনারেল এর কার্যালয় থেকে ট্যুইটারে সর্বশেষ ৮৬টি মৃতদেহ উদ্ধারের খবর জানানো হয়েছে। নিহতদের মধ্যে ১৭টি শিশু রয়েছে। আরো অন্তত ২৬ জনকে আহত অবস্থায় হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
বৃহস্পতিবার রাতে গুয়েতেমালা রাজধানীর ১৫ কিলোমিটার দক্ষিণে সান্তা ক্যাটারিনা পিনুলা শহরের পাশে এল ক্যাম্বরাই শহরে ভারী বৃষ্টিপাতের কারণে ভূমিধস হয়। ধসে ১২৫টির মতো বাড়ি পুরোপুরি ধ্বংস হয়ে গেছে।
এখনো প্রায় ৩৫০ জন নিখোঁজ রয়েছে বলে জানিয়েছেন কর্মকর্তারা। লোকজন স্বজনের ছবি হাতে অস্থায়ী মর্গের সামনে লাইন ধরে দাঁড়িয়ে আছে।
৪৮ বছর বয়সী গৃহবধু আনা মারিয়া এস্কবার বলেন, “এটি আমার জীবনে ঘটা সবচেয়ে ভয়াবহ ঘটনা।” তার পরিবারের ২১ জন সদস্য এখনো নিখোঁজ রয়েছে।
“এখন পর্যন্ত শুধুমাত্র আমার ভাবীকে খুঁজে পেয়েছি”, বলেন তিনি।
১৮ বছর বয়সী তরুণী গ্যাবি রামিরেজ সকাল ৬টা থেকে তার ভাইকে খুঁজছে। ঘটনার সময় গ্যাবির ভাই প্রতিবেশীর বাড়িতে ছিল। ভূমিধসে ওই বাড়িটি পুরোপুরি চাপা পড়েছে।
অশ্রুভেজা চোখে গ্যাবি বলে, “আমি তাকে জীবিত খুঁজে পাওয়ার আশা করছি না। তবে আশা করি তার মৃতদেহ খুঁজে পাব এবং তাকে কবর দিতে পারব। আমি অবশ্যই তাকে কবর দেব। আমি তাকে এখানে ছেড়ে যেতে পারব না।”
ধসে কিছু কিছু বাড়ি ৫০ ফুটের বেশি মাটির নিচে চাপা পড়ে গেছে।
আর কাউকে জীবিত উদ্ধারের সম্ভাবনা কম বলে জানিয়েছে গুয়াতেমালা জাতীয় দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা সংস্থা।
তবে আশা ছাড়েননি গুয়েতেমালার প্রতিরক্ষামন্ত্রী উইলিয়ামস ম্যানসিল্লা।
তিনি বলেন, “আশা করি আমরা যা হারানোর হারিয়ে ফেলেছি। তাই আমাদের আশা আমরা বাকীদের জীবিত উদ্ধার করব।”
যদিও শুক্রবারের পর আর কাউকে জীবিত উদ্ধার করা সম্ভব হয়নি।