বিবিসি বলছে, গবেষকরা সতর্ক করেছেন, প্রাকৃতিক প্রবণতার উপর বাড়তে থাকা গ্রিনহাউস গ্যাসগুলোর প্রভাবে বিশ্বের জলবায়ুর কাঠামোতে বড় ধরনের পরিবর্তনের সূচনা শুরু হয়ে থাকতে পারে।
গবেষণায় প্রশান্ত মহাসাগরের এল নিনোর বড় ধরনের প্রভাব শুরু হয়েছে বলে দেখা গেছে। এতে পুরো বিশ্বই উষ্ণ হয়ে উঠবে বলে ধারণা করা হচ্ছে।
তবে গবেষণায় এও উদঘাটিত হয়েছে, সারা বিশ্ব উষ্ণ হয়ে থাকলেও ইউরোপের গ্রীষ্মকাল অপেক্ষাকৃত ঠাণ্ডা হবে।
গবেষকরা নিশ্চিত হয়েছেন, ২০১৫ সালে পৃথিবী পৃষ্ঠের গড় তাপমাত্রা রেকর্ড মাত্রায় বা তার কাছাকাছি আছে।
যুক্তরাজ্য আবহাওয়া দপ্তরের একটি কেন্দ্রের পরিচালক প্রফেসর স্টিফেন বেলশার বলেছেন, “আমরা জানি বৈশ্বিক তাপমাত্রায় প্রাকৃতিক ধরনের একটি ভূমিকা আছে, কিন্তু চলতি বছরের উষ্ণ তাপমাত্রা গ্রিনহাউস গ্যাসের ধারাবাহিক প্রভাবেরই ইঙ্গিত দিচ্ছে।”
“এই প্রভাবের ধারাবাহিকতায় আগামী বছরও উষ্ণ হবে, আমাদের আবহাওয়া ধারাবাহিকভাবে পরিবর্তিত হচ্ছে এটি পরিষ্কার,” বলেন তিনি।
আরেক গবেষক প্রফেসর রোয়ান সুট্টন বলেছেন, “যে পর্যন্ত বড় ধরনের কোনো আগ্নেয় উদগিরণ না হচ্ছে, রেকর্ডকৃত উষ্ণ বছরগুলোর মধ্যে ২০১৪, ২০১৫ এবং ২০১৬ সবচেয়ে উষ্ণতম বছরই হবে বলে মনে হচ্ছে।”
“এটা কোনো ফ্লুক নয়। আমরা দেখছি, গ্রিনহাউস গ্যাসের কারণে তৈরি শক্তি ধারাবাহিকভাবে সমুদ্র ও আবহমণ্ডলে সঞ্চারিত হচ্ছে,” বলেছেন তিনি।