এ পদ্ধতিতে মানুষ কখন মারা যাবে তাও অনুমান করা সম্ভব বলেই মনে করছেন তারা। এছাড়া কারা স্মৃতিভ্রংশ রোগে আক্রান্ত হওয়ার উচ্চ ঝুঁকিতে রয়েছে সেটিও এ পদ্ধতিতে অনুমান করা যাবে।
পদ্ধতিটি চিকিৎসা ব্যবস্থা, অবসর এবং বীমার ক্ষেত্রেও গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করতে পারবে বলে আশা বিজ্ঞানীদের।
লন্ডনের কিংস কলেজের ওই বিজ্ঞানীরা বলেন, জন্ম তারিখ জানার চাইতে ‘জৈবিক বয়স’ জানা থাকাটা বেশি কার্যকর।
তবে কিভাবে শরীরের বয়স বৃদ্ধির গতি কমানো যায় সে বিষয়ে কোনো ইঙ্গিত দেননি বিজ্ঞানীরা।
নতুন এ পদ্ধতিতে রক্ত পরীক্ষার মা্যেমে নির্ধারণ করতে পারা যাবে শরীরের আসল বয়স। এ পরীক্ষায় মূলত রক্তে, মস্তিষ্কে এবং পেশী তন্তুতে থাকা ১৫০টি জিনের আচরণ তুলনা করে দেহ কোষের বয়স বৃদ্ধির বিষয়টি বুঝতে পারা যাবে।
কিংস কলেজের অধ্যাপক জেমি টিমনস বিবিসি ওয়েবসাইটকে বলেন, “সাধারণত আমাদের শরীরের সব কোষের বয়স স্বাস্থ্যকরভাবে বাড়ে।”
“কিন্তু ৪০ বছর বয়স হওয়ার পর দেহ কোষের বয়স ঠিক কিভাবে বাড়ছে সেটা দেখতে এই পদ্ধতি ব্যবহার করা যাবে।”
বিজ্ঞানীরা বলেন, ‘সুস্বাস্থ্য’ এবং ‘বয়স’ সম্পূর্ণ আলাদা দুইটি বিষয়।