শরণার্থীদের নিজের বাড়ি দিতে চান ফিনল্যান্ডের প্রধানমন্ত্রী

ইউরোপে অভিবাসন প্রত্যাশীদের নিজের বাড়ি দেওয়ার প্রস্তাব দিয়েছেন ফিনল্যান্ডের প্রধানমন্ত্রী ইউহা সিপিলা।

>>রয়টার্স
Published : 5 Sept 2015, 10:03 AM
Updated : 5 Sept 2015, 03:59 PM

যুদ্ধ কবলিত সিরিয়া থেকে ঘরবাড়ি ফেলে আসা লাখো মানুষের কারণে ইউরোপে অভিবাসন প্রত্যাশীদের যে ঢল নেমেছে তা কীভাবে মোকাবেলা করবেন সে বিষয়ে সিদ্ধান্ত নিতে যখন ইউরোপের নেতারা হিমশিম খাচ্ছেন সে সময় এ ঘোষণা দিলেন ফিনল্যান্ডের প্রধানমন্ত্রী।

সিপিলা বলেছেন, ফিনল্যান্ডের উত্তরাঞ্চলীয় কেম্পেলেতে তার যে বাড়ি রয়েছে সেটি এখন তেমন ব্যবহার হচ্ছে না। আগামী বছরের শুরু থেকে ওই বাড়িতে আশ্রয় প্রার্থীরা থাকতে পারেন।

প্রধানমন্ত্রী সিপিলা এখন সাধারণত ফিনল্যান্ডের রাজধানী হেলসিঙ্কিতেই বসবাস করেন।

চলমান শরণার্থী সংকট নিয়ে শনিবার দেশটির জাতীয় গণমাধ্যম ওয়াইএলইকে তিনি বলেছেন, “আমাদের সবার একবার আয়নার দিকে তাকিয়ে প্রশ্ন করা উচিত কীভাবে আমরা সহায়তা করতে পারি।”

দেশবাসীকে অভিবাসন প্রত্যাশীদের সঙ্গে সংহতি প্রকাশের আহ্বান জানিয়েছেন তিনি।

প্রধানমন্ত্রী সিপিলা বলেছেন, গ্রিস, ইতালি ও হাঙ্গেরিতে পৌঁছানো ১ লাখ ২০ হাজার শরণার্থীকে ইউরোপের দেশগুলোর মধ্যে যার যার ইচ্ছানুযায়ী ভাগ করে দেওয়ার পরিকল্পনা করেছে ইউরোপীয় ইউনিয়ন এবং এক্ষেত্রে ফিনল্যান্ড একটি দৃষ্টান্ত স্থাপন করবে বলে আশা করছেন তিনি। 

২০১১ সালে সিরিয়ায় যুদ্ধ শুরু হওয়ার পর থেকে প্রায় ৪০ লাখ মানুষ প্রতিবেশী দেশ তুরস্ক, লেবানন, জর্ডান, মিশর ও ইরাকে আশ্রয় নিয়েছে। অনেকে ইউরোপের বিভিন্ন দেশেও গেছেন। তবে সংঘাতময় ইরাকসহ মধ্যপ্রাচ্যের দেশগুলোতে বাজে পরিস্থিতি থেকে মুক্তি পেতে এখন ইউরোপের দিকে পাড়ি জমাচ্ছেন হাজার হাজার শরণার্থী।

এরইমধ্যে গত বুধবার সাগর পাড়ি দিয়ে গ্রিস যাওয়ার সময় নৌকা ডুবে আয়লান নামে তিন বছরের এক সিরীয় শিশুর মৃতদেহ তুরস্কের ঊপকূলে ভেসে আসে। সৈকতে মুখ থুবড়ে পড়ে থাকা ওই শিশুর মৃতদেহের ছবি নিয়ে বিশ্বের প্রায় সব সংবাদ মাধ্যমের শিরোনাম হয়।

এরপর শরণার্থীদের নিয়ে ইউরোপীয় নেতাদের অবস্থানের বিরুদ্ধে সমালোচনার ঝড় ওঠে।

সংকট নিরসনে ইউরোপীয় ইউনিয়নভুক্ত দেশগুলোকে দুই লাখ শরণার্থীকে আশ্রয় দিতে বলেছে জাতিসংঘের শরণার্থী বিষয়ক হাই কমিশন।