এর আগে আয়লানের বাবাকে ছেলের কফিনসহ তুরস্ক থেকে সিরিয়ায় ফিরতে দেয় কর্তৃপক্ষ।
সিরিয়ার কোবানি শহরে আয়লানের সঙ্গে সমাহিত করা হয়েছে তার মা রিহানা ও বড় ভাই গালেবকেও ।
তুরস্কের সমুদ্র উপকূলে আয়লানের নিথর দেহ পড়ে থাকার ছবি শরণার্থীদের দুঃখ-দুর্দশার চিত্র গোটা বিশ্বের মানুষের সামনে নিয়ে এসেছে। ছবিতে দেখা যায়, সৈকতে উপুড় হয়ে পড়ে আছে লাল জামা গায়ে ছোট্ট একটি শিশুর দেহ।
অভিবাসীদের একটি দল নৌকায় করে গ্রিসের একটি দ্বীপে যাওয়ার সময় নৌকাটি ডুবে গিয়ে আয়লানসহ ১২ জন নিহত হয়। শিশুটির মা এবং পাঁচ বছর বয়সী বড় ভাইও এ ঘটনায় নিহত হয়।
কিন্তু সৈকতে মুখ থুবড়ে পড়ে থাকা আয়লানের ছবিটিই বিশ্বে আলোড়ন তোলে। আরো কার্যকর উপায়ে শরণার্থী সঙ্কট মোকাবেলার জন্য ইউরোপের দেশগুলোর সরকারের উপর চাপ বাড়তে থাকে।
স্থানীয় বেতারে আয়লানের বাবা আব্দুল্লাহ কুর্দি অশ্রুসিক্ত চোখে আরব দেশগুলোর সরকারের প্রতি আবেদন জানিয়ে বলেছেন, “আমি চাই ইউরোপের দেশগুলোর সরকার নয় বরং আবর দেশগুলোর সরকাররা দেখুক আমার সন্তানদের কি ঘটেছে। শিশুদের কথা চিন্তা করে হলেও জনগণকে সাহায্য করুন।”