স্টেশনটি বন্ধ করে দেয়ার পর শত-শত অভিবাসী সেখানে আটকা পড়েছেন। এ স্টেশন হয়েই অভিবাসী প্রত্যাশীরা জার্মানি ও অন্যান্য ইইউ দেশে পৌঁছে।
ট্রেনে উঠতে হাঙ্গেরির বাধার মুখে আটকা পড়া প্রায় ২ হাজার অভিবাসী ট্রেন স্টেশনেই তাঁবু খাটিয়ে থাকতে শুরু করেছে। এদের মধ্য থেকেই শত শত অভিবাসী বুধবার নতুন করে বিক্ষোভ করেছে।
হাঙ্গেরি রেলওয়ে স্টেশন বন্ধ করে দেয়ার ব্যাপারে বিস্তারিত তেমন কিছু জানায়নি। তারা শুধুমাত্র ইইউ এর আইন অনুযায়ী কাজ করছে বলে জানিয়েছে।
রেলস্টেশন বন্ধের প্রতিবাদে বুধবার সকালে অভিবাসীরা আবারো বিক্ষোভ করে ‘মুক্তি’, ‘মুক্তি’ বলে স্লোগান দেয় এবং ট্রেনের টিকেট ওড়ায়। টিকেটের জন্য শত শত ইউরো ব্যয় হয়েছে বলে অভিযোগও করে তারা।
অভিবাসীদের সঙ্গে দাঙ্গা পুলিশের মুখোমুখি অবস্থানের কারণে ঘটনাস্থলে চরম উত্তেজনা বিরাজ করছে বলে জানিয়েছেন সংবাদদাতারা।
হাঙ্গেরির এ সঙ্কট নিয়ে বৃহস্পতিবার ইইউ প্রধানদের সঙ্গে বৈঠক করার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন দেশটির প্রধানমন্ত্রী ভিক্টর ওরবান।
ইইউ এর ডাবলিন রেগুলেশন অনুযায়ী, শরণার্থীরা প্রথম যে ইইউ দেশে প্রবেশ করবে সেখানেই আশ্রয় চাইতে পারে। কিন্তু এ নিয়ম মেনে চলা হাঙ্গেরি, ইতালি এবং গ্রিসের মত সীমান্তবর্তী দেশগুলোর জন্য কঠিন।
গ্রিস এরই মধ্যে শরণার্থীর ঢল সামলাতে তাদের অপারগতা প্রকাশ করেছে। গ্রিসে এরই মধ্যে পৌঁছেছে ৪ হাজারের বেশি শরণার্থী।