ব্যাংকক হামলা: দ্বিতীয় সন্দেহভাজন বিদেশি গ্রেপ্তার

থাইল্যান্ডের রাজধানী ব্যাংককে  হিন্দু মন্দিরে অগাস্টের ভয়াবহ বোমা হামলার ঘটনায় জড়িত সন্দেহে দ্বিতীয় আরেকজন বিদেশিকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।

নিউজ ডেস্কবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 1 Sept 2015, 11:32 AM
Updated : 1 Sept 2015, 11:32 AM

থাই প্রধানমন্ত্রী প্রায়ুথ চান-ওচা মঙ্গলবার একথা জানিয়েছেন। মন্ত্রিসভার সাপ্তাহিক এক বৈঠকের পর তিনি সাংবাদিকদেরকে বলেন, “আমরা আরো একজনকে গ্রেপ্তার করেছি। তিনি থাই নাগরিক নন।”

দ্বিতীয় এ বিদেশিকে ব্যাংককের পূর্বে ক্যাম্বোডিয়া সীমান্তের সা কায়েও প্রদেশ থেকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে এবং তাকে জেরা করার জন্য ব্যাংককে নেয়া হচ্ছে বলে জানান প্রায়ুথ।

টিভি ফুটেজে দেখা গেছে, পাতলা গড়নের ওই ব্যক্তি একটি বেসবল ক্যাপ ও সানগ্লাস পরে আছেন এবং তার ছোট করে ছাঁটা মোচও আছে।

এরাওয়ান হিন্দু মন্দিরে হামলার ঘটনায় জড়িত সন্দেহে এর আগে শনিবার আরেক বিদেশিকে গ্রেপ্তার করা হয়েছিল। ওই হামলায় অন্তত ২০ জন নিহত হয়।

ব্যাংককের উপকণ্ঠে নং জোক এপার্টমেন্টে তল্লাশি চালিয়ে বোমা তৈরির সরঞ্জাম এবং ১০ টি পাসপোর্ট খুঁজে পাওয়ার কথা জানায় পুলিশ। সামরিক কর্তৃপক্ষ তাকে জেরা করছে। তবে তার নাম বা জাতীয়তা এখনো প্রকাশ করেনি তারা।

গ্রেপ্তার হওয়া এই দুই বিদেশিরই কেউ হামলার প্রধান সন্দেহভাজন কিনা তা এখনো ষ্পষ্ট নয়। তবে ১৭ অগাস্ট বোমা হামলার দিন মন্দিরের নিরাপত্তা ক্যামরায় তাদেরকে দেখা গেছে।

সোমবার থাই পুলিশ দুই সন্দেহভাজনের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করে। এর মধ্যে একজন ওয়ান্না সুয়ানসান নামের হিজাব পরা এক নারী এবং অপরজন ছিল এক বিদেশি।

তবে ওয়ান্না নামের ওই নারী এরই মধ্যে সাংবাদিকদেরকে জানিয়েছেন, তিনি তুরস্কে বাস করছেন। থাইল্যান্ডে তিনি গিয়েছিলেন তিনমাস আগে। সন্দেহভাজন হিসাবে তার নাম ঘোষণা করায় ‘মর্মাহত’ হয়েছেন বলেও জানান ওয়ান্না।

হামলার ঘটনায় তুরস্কের কোনো যোগসাজশ আছে কিনা তাও খতিয়ে দেখছে থাই পুলিশ। তুরস্কের ভুয়া পাসপোর্ট পুলিশ এরই মধ্যে জব্দ করেছে এবং শনিবার গ্রেপ্তার করা ২৮ বছর বয়সী এক ব্যক্তিকে জেরা করতে তুর্কি দোভাষী চেয়েছে।

কর্তৃপক্ষ ওই ব্যক্তির পরিচয় কিংবা জাতীয়তা জানায়নি। তার বিরুদ্ধে অবৈধ বিস্ফোরক রাখার অভিযোগ আনা হয়েছে।

উইঘুর সমর্থকদেরকে ঘিরে সন্দেহ ঘণীভূত হচ্ছে।থাই পুলিশ ও  নিরাপত্তা বিশ্লেষকা বোমা হামলার ঘটনায় উইঘুরদের যোগসাজশ থাকার আশঙ্কা প্রকাশ করেছেন।

এই উইঘুররা চীনের পশ্চিমাঞ্চলের প্রত্যন্ত এলাকার তুর্কিভাষী মুসলিম সংখ্যালঘু সম্প্রদায়। বেইজিংয়ের শাসনে নিপীড়িত হওয়ার অভিযোগ করে আসছে তারা।

তুর্কিদের অনেকেই উইঘুরদের প্রতি চীনের এ বৈরি আচরণে অসন্তুষ্ট।গত মাসে ১শ’রও বেশি উইঘুরকে থাইল্যান্ড থেকে চীনে তাড়িয়ে দেয়া হয়।

মানবাধিকার গ্রুপগুলো থাইল্যান্ডের এ পদক্ষেপের সমালোচনা করে এবং তুরস্কেও ইস্তাম্বুলের থাই কনস্যুলেটের সামনে বিক্ষোভ করে তুর্কিরা।