বিরোধিরা নিরাপত্তা বিলের অপব্যাখ্যা করছে: জাপান সরকার

জাপানে যেসব যুক্তিতে নিরাপত্তা বিল বাতিলের দাবি উঠেছে তা ‘অপব্যাখ্যা’ হিসেবেই দেখছে সরকার। আর এজন্য বিরোধীদেরকে দায়ী করা হচ্ছে সরকার পক্ষ থেকে।

এস এম নাদিম মাহমুদ, জাপানের ওসাকা থেকেবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 31 August 2015, 04:02 PM
Updated : 31 August 2015, 04:51 PM

সোমবার দুপুরে রাজধানী টোকিওয় এক সংবাদ সম্মলনে মন্ত্রীপরিষদ সচিব ইয়াশিদা সুগা  নিরাপত্তা বিল বিরোধীদের বিরুদ্ধে ওই অভিযোগ করেন।

সম্প্রতি পার্লামেন্টের নিম্নকক্ষে পাশ হওয়া নিরাপত্তা বিল বাতিলের দাবিতে রোববার সকালে টোকিওয় কয়েক হাজার মানুষ রাস্তায় নেমে বিক্ষোভ করে। যে বিলের আওতায় জাপানি সেনারা যে কোন দেশে যুদ্ধে অংশ নিতে পারবে। ফলে অনাকাঙ্খিত যুদ্ধ-বিগ্রহ এড়াতে জাপানিরা এ বিক্ষোভে নামে।

বিলটি আগামী ২৭ সেপ্টেম্বর উচ্চকক্ষে পাশ হওয়ার কথা রয়েছে।

বিরোধীদের এ বিল বাতিল করার দাবিকে যুক্তিহীন আখ্যা দিয়ে মন্ত্রীপরিষদ সচিব সুগা বলেন, আমরা অত্যন্ত হতাশ ও লজ্জ্বিত। কোন কিছু না বুঝেই রোববার হঠাৎ করে যে বিক্ষোভ হয়েছে তা নিছক গুজব থেকে। আমাদের নিরাপত্তা বিলকে ভুলভাবে উপস্থাপন করে সরকার বিরোধীপক্ষ ফায়দা নিতে রাস্তায় নেমেছিল।

তিনি বলেন, সংবিধান সমুন্নত রেখে সরকার দেশের প্রতিরক্ষা ব্যবস্থাকে আরো শক্তিশালী ও যুগোপযোগী করতে নিরাপত্তা আইন পাশ করিয়েছে। সামরিক ক্ষেত্রে বিশ্ব যেখানে এগিয়ে, সেখানে আমাদের পিছিয়ে থাকা দুঃখজনক।

রোববারের  বিক্ষোভমিছিলে বিক্ষোভকারীরা অভিযোগ তোলে, সরকার এ বিল পাশের মাধ্যমে সামরিক খাতে অপ্রয়োজনীয় অতিরিক্ত অর্থ বরাদ্দ করবে, যা অর্থনীতির গতি মন্থর করবে। একইসঙ্গে সামরিক বাহিনীকে যুদ্ধক্ষেত্রে লাগিয়ে দেশে অনাবশ্যক অশান্তি তৈরি করবে। তারা এই বিলটি পশ্চিমা শাসক গোষ্ঠীদের তুষ্ট করার জন্য করা হচ্ছে বলেও মন্তব্য করেন।

এ বিষয়ে সুগা বলেন, দেশের মানুষের নিরাপত্তা দেয়া সরকারের দায়িত্ব। আর সেই নিরাপত্তা দিতে সরকার অঙ্গীকারাবদ্ধ।

জাপান সারা বিশ্বে শান্তিপ্রিয় দেশ হিসেবে পরিচিত মন্তব্য করে তিনি বলেন, সরকার সামরিক এই বিলটির  সঠিক ব্যাখ্যা সকলের কাছে পৌঁছে দিতে কাজ করছে। বিরোধীপক্ষ চরম অহসহযোগিতাপূর্ণ আচরণ করছে বলেও তিনি মন্তব্য করেন।

 শুক্রবার টোকিওয় কয়েকজন বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্র নিরাপত্তা বিলটি বাতিলের দাবিতে আমরণ অনশনের দাবি তোলে। এরপর শনিবার সরকার পক্ষ থেকে ওই ছাত্র জমায়েতকে নিষিদ্ধ করা হয়।

তবে সমালোচকরা বলছে, আগামী শনিবার সাপ্তাহিক ছুটির দিনে আরো বড় ধরনের বিক্ষোভ হতে পারে।