অক্টোবরের ১৮-১৯ তারিখে প্রথম পর্বের নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে বলে রোববার ঘোষণা করেছে কমিশন।
গত তিন বছর ধরে মিশরে কোনো পার্লামেন্ট নেই। ২০১২ সালের জুনে দেশটির একটি আদালত হালের নিষিদ্ধ সংগঠন মুসলিম ব্রাদারহুড নিয়ন্ত্রিত গণতান্ত্রিকভাবে নির্বাচিত পার্লামেন্টের মূল চেম্বারকে বিলুপ্ত করলে এ পরিস্থিতি তৈরি হয়।
মার্চে নির্বাচন হওয়ার কথা থাকলেও নির্বাচনী আইনের কিছু অংশকে আদালত অসাংবিধানিক ঘোষণা করায় দেরি হয়।
দুই পর্বের এই নির্বাচনের দ্বিতীয় পর্ব নভেম্বরের ২২-২৩ তারিখে অনুষ্ঠিত হবে বলে এক সংবাদ সম্মেলনে জানিয়েছে নির্বাচন কমিশন। বিদেশে থাকা মিশরীয় নাগরিকদের ভোট ১৭-১৮ অক্টোবর গ্রহণ করা হবে।
২০১৩ সালে সরকার বিরোধী বিক্ষোভের সুযোগে দেশটির গণতান্ত্রিকভাবে নির্বাচিত প্রেসিডেন্ট মুসলিম ব্রাদারহুডের মুহাম্মদ মুরসিকে ক্ষমতাচ্যুত করে সেনাবাহিনী। মুরসিকে কারাগারে পাঠিয়ে সামরিক বাহিনীর প্রধান আব্দেল ফাত্তা আল সিসি প্রেসিডেন্টের দায়িত্ব গ্রহণ করেন।
পরে সেনাশাসনের অধীনে অনুষ্ঠিত এক প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে নিরঙ্কুশ বিজয় লাভ করে প্রেসিডেন্ট হিসেবে নিজের অবস্থান সংহত করেন সিসি।
পার্লামেন্ট নির্বাচনের মাধ্যমে গণতন্ত্রের প্রতি মিশরের প্রতিশ্রুতি প্রমাণিত হবে বলে দাবি করেছে সিসি সরকার।