জাতীয় ঐক্যের ডাক মালয়েশীয় প্রধানমন্ত্রীর

ব্যাপক গণবিক্ষোভের মুখেও পদত্যাগে অস্বীকৃতি জানিয়েছেন মালয়েশীয় প্রধানমন্ত্রী নাজিব রাজাক, বরং জাতীয় ঐক্যের ডাক দিয়েছেন তিনি।

নিউজ ডেস্কবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 31 August 2015, 06:38 AM
Updated : 31 August 2015, 01:39 PM

বিবিসি জানিয়েছে, সরকারি তহবিল থেকে কোটি কোটি ডলার হাতিয়ে নিয়েছেন এমন অভিযোগ উঠার পর নাজিবের পদত্যাগের দাবিতে হাজার হাজার মানুষ রাজধানী কুয়ালালামপুরে টানা দুইদিন ধরে বিক্ষোভ করেছে।  

রোববার বিকেলে প্রায় ২৫ হাজার মানুষ নাজিবের পদত্যাগের দাবিতে বিক্ষোভ মিছিল করে। দেশটির সাবেক প্র্রধানমন্ত্রী প্রভাবশালী ব্যক্তিত্ব মাহথির মোহাম্মদও মিছিলটিতে উপস্থিত ছিলেন।  

কিন্তু বিক্ষোভের বিরোধিতা করে প্রধানমন্ত্রী নাজিব বলেছেন, “গণতান্ত্রিক দেশে এ ধরনের প্রতিবাদ মতামত জানানোর সঠিক পথ না।”

মালয়েশিয়ার জাতীয় দিবস উপলক্ষে দেওয়া বক্তৃতায় তিনি দাবি করেন, বিক্ষোভকারীরা ছাড়া দেশের বাদবাকী লোক তার সরকারের সঙ্গে আছেন। 

তিনি বলেন, “আমরা এতদিনে যা গড়ে তুলেছি, তা কাউকে নষ্ট করতে বা ধ্বংস করতে দেবো না, ভিতর থেকে বা বাইরে থেকে, কেউ স্রেফ হেঁটে এসে আমাদের অর্জন চুরি করে নিয়ে যাবে তা কখনোই হতে দিবো না আমরা।”

“সবার স্মরণ রাখা দরকার, আমরা যদি একতাবদ্ধ না থাকি, আমাদের সংহতির শক্তি হারিয়ে ফেলবো, কোনো সমস্যারই সমাধান হবে না, বরং পরিশ্রম করে আমরা যা নির্মাণ করেছি এভাবে তার সবই ধ্বংস হবে।”

প্রতিবাদ বিক্ষোভের ফলে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির অবনতি হচ্ছে ও জনগণের স্বাভাবিক জীবনযাত্রায় বিঘ্ন ঘটছে বলে অভিযোগ করেন তিনি।

প্রতিবাদকারীরা প্রজ্ঞার পরিচয় দিচ্ছে না এবং গণতান্ত্রিক দেশে এ ধরনের প্রতিবাদ ‘মতামত প্রকাশের সঠিক পথ না’ বলে মন্তব্য করেন তিনি।

সরকারি তহবিলের ৭০ কোটি ডলার আত্মসাৎ করার অভিযোগও অস্বীকার করেন তিনি।

ওয়ানএমডিবি রাষ্ট্রীয় তহবিলের এই অর্থ নাজিবের একাউন্টে জমা হওয়ার খবরটি প্রথম ওয়াল স্ট্রিট জার্নালে প্রকাশিত হয়। ২০০৯ সালে ক্ষমতায় আসার পর এই রাষ্ট্রীয় তহবিলটি প্রতিষ্ঠা করেছিলেন প্রধানমন্ত্রী নাজিব।

নাজিব যেভাবে এই কেলেঙ্কারি সামাল দেওয়ার চেষ্টা করেছেন তার সমালোচনা করেছিলেন তার সরকারের বেশ কয়েকজন শীর্ষ কর্মকর্তা। ওই কর্মকর্তাদের সবাইকে তাদের পদ থেকে সরিয়ে দেন নাজিব।

মালয়েশিয়ার দুর্নীতি দমন সংস্থা অবশ্য প্রধানমন্ত্রীকে নির্দোষ বলে ঘোষণা করেছে, অর্থগুলো বিদেশের দাতাদের কাছ থেকে এসেছে বলে জানিয়েছে সংস্থাটি।