মানবপাচারে জড়িত সন্দেহে লিবিয়ায় আটক ৩

ভূমধ্যসাগরে সর্বশেষ দুইটি নৌকাডুবির ঘটনার পর মানবপাচারে জড়িত সন্দেহে লিবিয়ায় তিন ব্যক্তিকে আটক করা হয়েছে বলে জানিয়েছে দেশটির নিরাপত্তা বাহিনী।

>>রয়টার্স
Published : 29 August 2015, 01:58 PM
Updated : 29 August 2015, 02:01 PM

বৃহস্পতিবার লিবিয়ার জুয়ারা শহরের কাছে ভূমধ্যসাগরে প্রায় পাঁচশ অভিবাসী নিয়ে দুইটি নৌকা ডুবে যায়।

লিবিয়ার নিরাপত্তা কর্মকর্তাদের বরাত দিয়ে রয়টার্সের এক প্রতিবেদনে বলা হয়, ডুবে যাওয়া নৌকা দুটির আরোহীদের মধ্যে আফ্রিকার বিভিন্ন দেশ, পাকিস্তান, সিরিয়া, মরক্কো এবং বাংলাদেশের নাগরিকরা ছিলেন।

শুক্রবার পর্যন্ত ৮২টি মৃতদেহ এবং ১৯৮ জনকে জীবিত উদ্ধার করার খবর বিবিসিকে জানিয়েছিলেন রেড ক্রিসেন্ট কর্মকর্তা ইব্রাহিম আল আতৌশি। ওই সময় আরও প্রায় দুইশ জনের নিখোঁজ থাকার কথাও বলেছিলেন তিনি।

নাম প্রকাশ না করার শর্তে লিবিয়ার একজন নিরাপত্তা কর্মকর্তা রয়টার্সকে বলেন, ঝুঁকিপূর্ণ নৌযান বা অন্যান্য যানে অভিবাসীদের ইতালিতে পাচারের সঙ্গে জড়িত লিবিয়ার তিনজন মানবপাচারকারীকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।

“আমাদের ধারণা এর সঙ্গে আরও অনেকে জড়িত আছে। আমরা তাদের খোঁজ করছি।”

মধ্যপ্রাচ্য, আফ্রিকা এবং এশিয়ার যুদ্ধবিধ্বস্ত ও দারিদ্র পীড়িত দেশের অভিবাসীদের অবৈধভাবে ইউরোপে প্রবেশের একটি বড় ‘ট্রানজিট রুট’ লিবিয়া।

২০১১ সালে মুয়াম্মার গাদ্দাফির পতনের পর কোনো কেন্দ্রীয় সরকার না থাকায় লিবিয়ায় ব্যাপক রাজনৈতিক বিশৃঙ্খলা বিরাজ করছে। সেখানে মানবপাচারকারী গ্রেপ্তারের ঘটনা তেমন একটা দেখা যায় না।  

বৃহস্পতিবারের ঘটনার পর জুয়ারা শহরের অধিবাসীরা তাদের শহরকে ব্যবহার করে মানবপাচার করা পাচারকারীদের কঠোর হস্তে দমনের জন্য কর্তৃপক্ষের কাছে দাবি জানায়।

মানবপাচারকারীরা জুয়ারা উপকূল থেকে ভূমধ্যসাগর পাড়ি দিয়ে ইতালির ল্যাম্পাদুসা দ্বীপে পৌঁছানোর চেষ্টা করে।

মানবপাচার বন্ধে লিবিয়া ইউরোপীয় ইউনিয়নের কাছে তাদের নৌবাহিনীকে প্রশিক্ষণ দেয়ার আহ্বান জানিয়েছে।

ইউরোপীয় ইউনিয়ন সহায়তা শুরু করলেও ২০১৪ সালে তা বন্ধ হয়ে যায়।

কারণ লিবিয়ার পশ্চিমাঞ্চলের স্ব-ঘোষিত সরকারকে ইইউ সমর্থন দেয়নি।

পশ্চিমা এবং বেশিরভাগ আরব দেশ লিবিয়ার পূর্বাঞ্চল ভিত্তিক সরকারকে সমর্থন করে। কিন্তু এই সরকারের পশ্চিমাঞ্চলের উপর কোনো নিয়ন্ত্রণ নেই।

মূলত লিবিয়ার পশ্চিমাঞ্চল দিয়েই মানবপাচারের ঘটনা ঘটে।