এই তিন সাংবাদিকের বিরুদ্ধে অভিযোগ, তারা নিষিদ্ধ ঘোষিত দল মুসলিম ব্রাদারহুডের পক্ষে প্রচারণা চালাচ্ছিলো। যদিও তিনজনই দৃঢ়ভাবে এই অভিযোগ অস্বীকার করেছে।
শাস্তি পাওয়া তিন সাংবাদিক হলেন, মিশরীয় বংশোদ্ভূত কানাডার নাগরিক মোহাম্মেদ ফাহমি, মিশরের নাগরিক বাহার মোহাম্মেদ এবং অস্ট্রেলিয়ার পিটার গ্রেস্টে।
শনিবার রায় ঘোষণার সময় ফাহমি ও মোহাম্মেদ আদালতে উপস্থিত ছিলেন। এ বছরের শুরুতে অস্ট্রেলিয়া ফিরে যাওয়ায় গ্রেস্টে এদিন অনুপস্থিত ছিলেন।
শনিবার তাদের পুনর্বিচারে রায় ঘোষণার সময় বিচারক হাসান ফরিদ বলেন, “এই তিনজন তালিকাভূক্ত সাংবাদিক নয়। সংবাদ পরিবেশন বিষয়ে কোনো লাইসেন্স ছাড়া কায়রোর একটি হোটেলে অবস্থান করে তারা তাদের কার্যক্রম পরিচালনা করেছিল।”
ফাহমি ও গ্রেস্টেকে তিন বছরের কারাদণ্ড দেয়া হলেও মোহাম্মেদকে তিন বছর ছাড়াও বাড়তি ছয় মাসের কারাদণ্ড দেয়া হয়েছে।
২০১৪ সালের জুলাইয়ে প্রথমবার এই মামলার রায় ঘোষণা করা হয়। ওই রায়ে গ্রেস্টে ও ফাহমিকে সাত বছর করে এবং মোহাম্মেদকে ১০ বছরের কারাদণ্ড দেয়া হয়েছিল।
এ বছর জানুয়ারিতে ওই রায় বাতিল করে পুনরায় বিচার কাজ শুরু করার নির্দেশ দেয়া হয় এবং ফেব্রুয়ারিতে কারাগারে থাকা তিন সাংবাদিককে ছেড়ে দেয়া হয়।
রায় শোনার পর তিনি ‘হতভম্ব হয়ে গেছেন’ এবং এটা ‘তার জন্য অবমাননাকর’ বলে টুইটারে মন্তব্য করেছেন গ্রেস্টে।
আদালত কক্ষের বাইরে ফাহমির আইনজীবী আমল ক্লুনি মিশরের প্রেসিডেন্ট আব্দেল ফাত্তাহ আল-সিসিকে দোষী সাব্যস্ত তিন সাংবাদিককে ক্ষমা করে দেয়ার আহ্বান জানান।
তিনি বলেন, “আজকের এই রায় মিশরে (সাংবাদিকদের জন্য) খুবই বিপদজনক বার্তা।”
পুনর্বিচারের রায়ের বিরুদ্ধে আপিল করার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন সাংবাদিকদের আইনজীবীরা।