শনিবার গ্রেপ্তার হওয়া ওই ব্যক্তিই সিসিটিভি ফুটেজেদেখা এক সন্দেহভাজন বলে জানিয়েছে কর্তৃপক্ষ।
১৭ অগাস্ট বোমা বিস্ফোরণের কিছুক্ষণ আগে ওই ব্যক্তি তার পিঠের ব্যাগ বিস্ফোরণস্থলের কাছে ফেলে যান বলে সিসিটিভি ফুটেজে ধরা পড়ে।
এরপর থেকেই তাকে হন্যে হয়ে খুঁজতে শুরু করে নিরাপত্তা বাহিনীর সদস্যরা।
ওই বিস্ফোরণে ২২ জন নিহত হন। এদের মধ্যে এশিয়ার কয়েকটি দেশের ৯ বিদেশি পর্যটকও রয়েছেন। এতে চীন ও তাইওয়ানের নাগরিকসহ ১২৩ জন আহতও হন।
শনিবার ব্যাংককের উত্তরাঞ্চলের একটি অ্যাপার্টমেন্টে অভিযান চালায় পুলিশ। সেখানে প্রবেশ করে বোমার তৈরির সম্ভাব্য বিভিন্ন সরঞ্জামের সন্ধান পাওয়া যায় বলে জাতীয় পুলিশের মুখপাত্র প্রাউত থাভনসিরি জানিয়েছেন।
অ্যাপার্টমেন্টটি সন্দেহভাজন ওই ব্যক্তি ব্যবহার করতেন।
তিনি আরো বলেন, গ্রেপ্তার হওয়া ব্যক্তি দেখতে ঠিক তার মতো, যে সন্দেহভাজনের খোঁজ আমরা করছি।
প্রাউত বলেন, “বোমা তৈরিতে ব্যবহৃত হতে পারে এমন সরঞ্জামাদিও পাওয়া গেছে।”
ওই বিস্ফোরণের পর দেশটির প্রধানমন্ত্রী প্রায়ুথ চান ওঁচা বলেছিলেন, “থাইল্যান্ডে এর আগে এত ভয়াবহ বোমা হামলা আর হয়নি”।
পর্যটকদের অন্যতম আকর্ষণ এরাওয়ান মন্দিরে চালানো এই হামলার দায় শেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত কোনো গোষ্ঠীই স্বীকার করেনি। থাই কর্মকর্তারাও সরাসরি কোনো গোষ্ঠীকে দায়ী করেননি।
তবে এক দশক ধরে থাইলান্ডে রাজনৈতিক দলগুলোর মধ্যে বিভিন্ন সময়ে সহিংসতা হচ্ছে। বেশ কয়েক মাসের সহিংসতার পর গেল বছর মে মাসে দেশটিতে সেনা অভ্যুত্থান হয়। এখন সামরিক বাহিনীই শাসনক্ষমতায় আছে।