অস্ট্রিয়ায় পরিত্যক্ত লরিতে পাওয়া লাশের সংখ্যা ৭১

অস্ট্রিয়ার পূর্বাঞ্চলে হাঙ্গেরি সীমান্তের কাছের সড়কে পরিত্যক্ত একটি লরিতে পাওয়া লাশের সংখ্যা ৭১ বলে জানিয়েছে অস্ট্রিয়া।

নিউজ ডেস্কবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 28 August 2015, 09:23 AM
Updated : 28 August 2015, 02:45 PM

এসব লাশ সিরীয় শরণার্থীদের বলে ধারণা করা হচ্ছে।

বিবিসি বলছে, বৃহস্পতিবার এই লরিটি পাওয়া গেছে। পুলিশ বলছে, লাশগুলো দেড় থেকে দুইদিন আগে লরিতে তোলা হয়েছিল।

এ ঘটনায় জড়িত সন্দেহে তিন বুলগেরিয় এবং একজন আফগান নাগরিককে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। নিহতদের মধ্যে ৫৯ জন পুরুষ, ৮ জন নারী এবং এক-দুই বছরের এক মেয়ে শিশুসহ ৪ জন শিশু রয়েছে বলে জানিয়েছে পুলিশ।

ট্রাকের ভেতর শ্বাসরুদ্ধ হয়ে তারা মারা গেছে বলে ধারণা করছেন কর্মকর্তারা। স্থানীয় পুলিশ জানিয়েছে, ট্রাকটির ভেতরে পাওয়া ভ্রমণ সংক্রান্ত কাগজপত্র থেকে ধারণা করা হচ্ছে তারা সিরিয়ার শরণার্থী।

পূর্বাঞ্চলীয় বুর্গেনল্যান্ড রাজ্যের পুলিশ প্রধান হ্যান্স পিটার ডসকোজিল এক সংবাদ সম্মেলনে বলেন, পার্নডর্ফ শহরের কাছে সড়কে বৃহস্পতিবার সকালে একটি সাড়ে সাত টন ওজনের ট্রাকে এসব লাশের সন্ধান পায় পুলিশ। ট্রাকটি বুধবার থেকে সেখানে পড়ে ছিল।

লাশগুলো পচতে শুরু করেছে বলে জানান ডসকোজিল। অস্ট্রিয়া ও হাঙ্গেরির পুলিশ যৌথভাবে লরিটির চালকের সন্ধান চালাচ্ছে।লরির গায়ে স্লোভাকিয়ার পোল্ট্রি কোম্পানি হাইজার লোগো লাগানো আছে। তবে কোম্পানিটি জানিয়েছে এ লরিটি এখন আর তাদের নয়।

অভিবাসীদের যাত্রাপথের মানচিত্র। ছবি: বিবিসি

প্রাথমিক তদন্তে দেখা গেছে, লরিটির ভেতরে বাতাস চলাচলের কোনো রাস্তা ছিল না। একারণেই লোকজন সম্ভবত শ্বাস নিতে না পেরে মারা গেছে বলে ধারণা পুলিশের।

মধ্যপ্রাচ্য ও আফ্রিকা থেকে ইউরোপ অভিমুখে সম্প্রতি যে অভিবাসীর ঢল নেমেছে তা সামলানোর উপায় নিয়ে আলোচনার জন্য অস্ট্রিয়ার রাজধানী ভিয়েনায় ইউরোপীয় নেতাদের সম্মেলন চলার সময় এসব লাশ পাওয়া গেল।

এ ট্র্যাজেডি বলকান সম্মেলনে অংশ নেয়া ইউরোপীয় নেতাদের নাড়া দিয়েছে বলে উল্লেখ করেছেন জার্মান চ্যান্সেলর আঙ্গেলা মের্কেল।

ভিয়েনা সম্মেলনে এক সংবাদ সম্মেলনে মের্কেল বলেন, “ভয়ঙ্কর এ খবরে আমরা মর্মাহত। এ ঘটনা আমাদেরকে স্মরণ করিয়ে দিচ্ছে যে, আমাদেরকে অভিবাসন সঙ্কট দ্রুতই সামাল দিতে হবে এবং একটি সমাধান খুঁজে পেতে হবে।”

জাতিসংঘের হিসাবমতে, চলতি বছর আট মাসে অভিবাসনের আশায় এশিয়া, মধ্যপ্রাচ্য ও আফ্রিকা থেকে তিন লাখের বেশি মানুষ ভূমধ্যসাগর পাড়ি দিয়েছে।

শুধুমাত্র গেল মাসেই ইইউ সীমান্ত পাড়ি দিয়েছে রেকর্ড সংখ্যক ১ লাখ ৭ হাজার ৫শ’ মানুষ। আর পুলিশের হিসাবমতে, বুধবার ৩ হাজারেরও বেশি মানুষ সাইবেরিয়ায় প্রবেশ করেছে।