বুধবার কলরাডো আদালতে এ দণ্ড ঘোষণার সময় বিচারক বলেন, মানসিক অসুস্থতা আর নীতিভ্রষ্টতা দুটো একইসঙ্গে সত্য হতে পারে না।
আসামি হোমস কলরাডোর ডেনভার শহরের অরোরা এলাকার এক মাল্টিপ্লেক্স সিনেমা হলে হলিউডের ‘ব্যাটম্যান’ ছবিটির রাত্রিকালীন প্রদর্শনী চলাকালে আধাস্বয়ংক্রিয় রাইফেল, শটগান ও পিস্তল দিয়ে গুলি চালিয়ে হত্যাকাণ্ড ঘটান। এ সময় মাথায় হেলমেট, মুখে গ্যাস মুখোশ ও শরীরে বর্ম পরিহিত ছিলেন তিনি।
ওরাপাহো কাউন্টি ড্রিস্টিক আদালতের বিচারক কার্লোস সামুর বলেন, “আসামি মুক্ত সমাজে যেন আর কখনো পা রাখতে না পারেন আদালত সেই ব্যবস্থা করতে চায়। কোনো মামলায় যদি সর্বোচ্চ সাজা দেওয়ার থাকে তাহলে এটিই সেই মামলা।”
তিনি আরো বলেন, “আসামি কোনো সহানুভূতি পাওয়ার যোগ্য নন।”
হত্যাকাণ্ড থেকে বেঁচে ফিরে আসা লোকজন ও নিহতদের স্বজনেরা রায় ঘোষণার পর হাততালি দিয়ে আদালতের সিদ্ধান্তকে স্বাগত জানান।
রায় ঘোষণার পর হোমসকে আদালত থেকে সরিয়ে নেওয়ার আদেশ দেন বিচারক। তারপর ডাণ্ডাবেড়ি পড়া হোমসকে আদালত থেকে নিয়ে যাওয়া হয়।
হোমসের মৃত্যুদণ্ডের বিষয়ে জুরিরা একমত হতে পারেননি। এতে সাবেক নিউরোসায়েন্সের ছাত্র আসামি হোমসের ১২ দফা যাবজ্জীবন দণ্ড পাওয়া নিশ্চিত হয়ে যায়। এ দণ্ড ভোগ করার সময় হোমসকে কখনো প্যারোলে মুক্তি দেওয়া হবে না।
কারাগারের নির্জন সেলে একাকী দণ্ড ভোগ করতে হবে তাকে।
হত্যার দায় ছাড়াও হত্যাচেষ্টার বেশ কিছু অভিযোগ ও বোমা তৈরি করে অ্যাপার্টমেন্টে সাজিয়ে রাখার জন্য হোমসকে আরো কারাদণ্ড দেন বিচারক সামুর।
এপ্রিলের শেষ দিকে বিচারে দোষী সাব্যস্ত হয়েছিলেন হোমস। তার আইনজীবীরা এ রায়ের বিরুদ্ধে আপিল করবেন না বলে জানিয়েছেন।