৪৮৭টি পরিবারের ওপর গবেষণা চালিয়ে গবেষকরা দেখেন, যেসব বাবা-মা সন্তান লালন-পালনের দায়িত্ব ভাগাভাগি করে নেন, তারা মানসিকভাবে এবং যৌনজীবনে অনেক বেশি সুখী হন।
কিন্তু ওইসব পরিবার যেখানে মা সন্তান পালনের বেশিরভাগ দায়িত্ব পালন করেন সেখানে দাম্পত্য জীবনে অসন্তোষ বেশি দেখা যায়।
তবে পরিবারে বাবারা সন্তান লালনে মুখ্য ভূমিকা পালন করলেও তাদের ক্ষেত্রে যৌনজীবনে বেশি প্রভাব পড়ে না বা একই প্রভাব দেখা যায় না বলে জানিয়েছেন গবেষকরা।
‘২০০৬ বৈবাহিক ও সম্পর্ক গবেষণার’ তথ্যের ভিত্তিতে গবেষকরা এ সিদ্ধান্তে উপনীত হন। দম্পতিদের সম্পর্কনিয়ে জরিপ চালিয়ে গবেষণাটি করা হয়।
গবেষণার তথ্যানুযায়ী, ওই সব দম্পতি যেখানে নারী সন্তানের যত্নের ৬০ শতাংশের বেশি দায়িত্ব পালন করে তাদের দাম্পত্য জীবনে অসন্তোষ অনেক বেশি। সেই সঙ্গে যৌন জীবনেরও তারা খুশী নয়।
প্রধান গবেষক জর্জিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক ড. ড্যানিয়েল কার্লসন বলেন, “মা যদি সন্তানের যত্নের বেশিরভাগ বা পুরো দায়িত্বই পালন করে তবে তাদের দাম্পত্য জীবন এবং যৌন জীবন উভয় ক্ষেত্রেই সমস্যা দেখা দেয়। এটি গুরুত্বপূর্ণ গবেষণা ফলগুলোর একটি।”
“অন্যদিকে বাবা যদি সন্তানের যত্নের বেশির ভাগটা বা পুরো দায়িত্ব পালন করেন, সেক্ষেত্রে দাম্পত্য জীবনে অতটা নেতিবাচক প্রভাব পড়ে না।”
তবে বাচ্চাকে খাওয়ানো বা গোসল করানোর মত কাজগুলো কার করা উচিৎ সে বিষয়ে গবেষণায় কোনো পরামর্শ দেয়া হয়নি।
এ বিষয়ে আরও বিস্তারিত গবেষণা চলছে।
ড. কার্লসন বলেন, “দায়িত্ব ভাগাভাগি করে নেয়া বলতে দম্পতিরা ঠিক কি বোঝেন সে বিষয়টা আমরা বোঝার চেষ্টা করছি।”