বন্যাকবলিত মিয়ানমারের আন্তর্জাতিক সহায়তার আবেদন

কয়েক সপ্তাহের প্রবল বৃষ্টিপাতের ফলে ব্যাপক বন্যা দেখা দেওয়ায় আন্তর্জাতিক ত্রাণ সহায়তার জন্য আবেদন করেছে মিয়ানমার। 

>>রয়টার্স
Published : 4 August 2015, 09:36 AM
Updated : 4 August 2015, 09:36 AM

মঙ্গলবার জানানো এই আবেদনে ২ লাখ ১০ হাজার বন্যাদুর্গত মানুষের জন্য খাদ্য, অস্থায়ী আশ্রয়কেন্দ্র নির্মাণের সামগ্রী ও কাপড় দিয়ে সহায়তার কথা বলা হয়েছে। 

সরকারি তথ্যানুযায়ী বন্যায় অন্ততপক্ষে ৪৭ জনের মৃত্যু হয়েছে। 

মিয়ানমারের আন্তর্জাতিক ত্রাণ সহায়তা চাওয়ার বিষয়টি জেনারেলদের শাসনামলের বিপরীত একটি সিদ্ধান্ত। 
 
২০০৮ সালে প্রলংয়করী ঘূর্ণিঝড়ে দেশটির ১ লাখ ৩০ হাজার মানুষ নিহত হলেও বাইরের সাহায্য নিতে অস্বীকার করেছিল দেশটির সামরিক সরকার। 

বর্তমানে ক্ষমতাসীন প্রায় বেসামরিক সরকার বন্যাত্রাণ উদ্যোগের নেতৃত্ব দিলেও মাঠ পর্যায়ে ত্রাণ বিতরণের কাজ সামরিক বাহিনীর অধীনেই পরিচালিত হচ্ছে। 

দেশটির তথ্যমন্ত্রী ও প্রেসিডেন্ট দপ্তরের মুখপাত্র ইয়ে হটুট বলেছেন, “আমরা আন্তর্জাতিক ত্রাণ সহায়তায় সহযোগিতা করছি ও আমন্ত্রণ জানাচ্ছি। সম্ভাব্য দাতা সংস্থা ও দেশগুলোর সঙ্গে আমরা যোগাযোগ শুরু করেছি।” 

তিনি জানিয়েছেন, বন্যার পানি নেমে যাওয়ার পরও লোকজনের পুনর্বাসন ও ঘরবাড়ি পুনঃনির্মাণের জন্যও আন্তর্জাতিক সহায়তা প্রয়োজন হবে। 
 
মাথাপিছু ১১০৫ ডলার আয় নিয়ে মিয়ানমার পূর্ব এশিয়া ও এশিয়া-প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলের অন্যতম দরিদ্র দেশ। 
 
চলতি সপ্তাহ থেকে ইয়াঙ্গুনের চীনা দূতাবাস দেশটির বন্যাদুর্গত এলাকাগুলোতে ত্রাণ সরবরাহ করা শুরু করেছে।
  
তথ্যমন্ত্রী জানিয়েছেন, রাখাইন রাজ্যে বন্যার পানি কমতে শুরু করেছে। 

গেল সপ্তাহের শেষ দিকে বাংলাদেশে আঘাত হানা ঘূর্ণিঝড় কোমেনের প্রভাবে প্রবল বৃষ্টিপাতে মিয়ানমারে প্রবল বন্যা দেখা দেয়।