ঘটনাটি সত্য হলে তা যুক্তরাষ্ট্রের তত্ত্বাবধানে গঠিত বিদ্রোহী বাহিনীটির কোনো সদস্যের লড়াইয়ে নিহত হওয়ার প্রথম ঘটনা হবে বলে সোমবার জানিয়েছেন যুক্তরাষ্ট্রের কর্মকর্তারা।
নাম না প্রকাশ করার শর্তে বার্তা সংস্থা রয়টার্সকে একজন কর্মকর্তা জানান, শুক্রবার সন্দেহভাজন নুসরা ফ্রন্টের সদস্যদের সঙ্গে লড়াইয়ে সিরীয় ওই বিদ্রোহী নিহত হয়েছেন বলে ধারণা করা হচ্ছে।
তথ্যটিকে তিনি প্রাথমিকভাবে পাওয়া বলে বর্ণনা করেন। অপরদিকে ‘অভিযানের নিরাপত্তাজনিত কারণ’ দেখিয়ে বিষয়টি নিয়ে কোনো মন্তব্য করতে রাজি হয়নি পেন্টাগন।
শুক্রবারের ওই হামলার সময় প্রথমবারের মতো সিরীয় ওই বিদ্রোহী বাহিনীটির সমর্থনে আক্রমণকারীদের লক্ষ করে বিমান হামলা চালায় যুক্তরাষ্ট্রের সামরিক বাহিনী। ওই সময় যুক্তরাষ্ট্রের সামরিক বাহিনী কোনো হতাহতের উল্লেখ ছাড়াই তাদের প্রশিক্ষিত যোদ্ধারা আক্রমণ প্রতিহত করেছে বলে জানিয়েছিল।
নিজেদের প্রশিক্ষিত সিরীয় বিদ্রোহীদের সুরক্ষা দেওয়ার অঙ্গীকারের মাধ্যমে সিরিয়ার গৃহযুদ্ধে যুক্তরাষ্ট্রের ভূমিকা আরো বিস্তৃত হবে বলে ধারণা করা হচ্ছে।
সিরিয়ায় এ পর্যন্ত শুধু ইসলামিক স্টেটের (আইএস) অবস্থান লক্ষ করে বিমান হামলা চালানোর মধ্যেই যুক্তরাষ্ট্রের ভূমিকা সীমাবদ্ধ ছিল।
প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত সিরীয় বিদ্রোহীদের আসাদের অনুগত বাহিনী নয় বরং ইসলামিক স্টেটের (আইএস) বিরুদ্ধে লড়াইয়ে কাজে লাগাতে চাইছে যুক্তরাষ্ট্র।