জাপানের মন্ত্রিসভার সদস্য থেকে শুরু করে ব্যাংক কর্মকর্তাদের ওপর এবং বড় কোম্পানি মিত্সুবিশিসহ বেশ কিছু প্রতিষ্ঠানের ওপর গোয়েন্দা নজরদারি চালিয়েছে যুক্তরাষ্ট্রের জাতীয় নিরাপত্তা সংস্থা ‘এনএসএ’।
হইচই ফেলে দেয়া ওয়েবসাইট উইকিলিকস তাদের ফাঁস করা তথ্যে জাপানের ৩৫টি বড় কোম্পানি ও ব্যক্তির টেলিফোন নাম্বারের তালিকা দিয়েছে- যেগুলোর ওপর যুক্তরাষ্ট্রের নজরদারি ছিল।
অন্তত ৮ বছর আগে এ গুপ্তচরবৃত্তি চালানো হয়েছে বলে জানিয়েছে উইকিলিকস।
জাপানের বড় বড় ব্যবসা প্রতিষ্ঠানের মধ্যে ব্যাংক, জ্বালানি প্রতিষ্ঠান, মিৎসুবিশি ও মাতসুইয়ের মতো বিখ্যাত প্রতিষ্ঠান ছাড়াও সরকারি কর্মকর্তা, মন্ত্রিসভার সদস্যসহ প্রধানমন্ত্রী শিনজো আবের ঊর্ধ্বতন উপদেষ্টাদের ওপর এনএসএ গোয়েন্দাগিরিকরেছে বলে উইকিলিকস এক বিবৃতিতে দাবি করেছে।
জাপানের অভ্যন্তরীণ বিভিন্ন ইস্যু, যেমন: বাণিজ্য আলোচনা, জলবায়ু পরিবর্তন রোধের নীতি, পরমাণু ও জ্বালানি নীতি এমনকি প্রধানমন্ত্রী আবের বাসভবনের গোপন ব্রিফিংয়ের ওপরও যুক্তরাষ্ট্রের নজরদারি ছিল।
উইকিলিকসের ফাঁস করা নতুন এ তথ্যের ব্যাপারে জাপান এখনো কোনো প্রতিক্রিয়া প্রকাশ করেনি।
এর আগে যুক্তরাষ্ট্রের মিত্র দেশ জাপানের মতো জার্মানি, ফ্রান্স ও ব্রাজিলের নেতাদের ওপরও এনএসএ-এর গুপ্তচরবৃত্তির খবর ফাঁস করে উইকিলিকস। এ নিয়ে দেশগুলো কড়া হুঁশিয়ারিও দিয়েছে। তবে গোয়েন্দাগিরির অভিযোগ বরাবরই অস্বীকারকরে আসছে যুক্তরাষ্ট্র।