জেরুজালেমে সমকামী র‌্যালিতে হামলায় আহত ৬

জেরুজালেমে সমকামীদের একটি বার্ষিক র‌্যালিতে এক ইসরায়েলি কট্টরপন্থি ইহুদি ছুরি নিয়ে হামলা চালিয়েছে। এ হামলায় আহত হয়েছেন ৬ জন। এদের মধ্যে দুইজনের অবস্থা গুরুতর।

>>রয়টার্স
Published : 31 July 2015, 06:04 AM
Updated : 31 July 2015, 10:44 AM

পুলিশ হামলাকারীকে গ্রেপ্তার করেছে।

ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু এই হামলার তীব্র নিন্দা জানিয়ে বলেছেন, সমকামী সম্প্রদায়েরও ইসরায়েলের সব নাগরিকের মতো শান্তিপূর্ণভাবে বসবাসের অধিকার রয়েছে।

তার সরকার সেই অধিকার রক্ষায় সচেষ্ট হবে বলেও নেতানিয়াহু ঘোষণা দিয়েছেন।

পুলিশ জানিয়েছে, হামলাকারী ব্যক্তির নাম ইয়েশাই শিলসেল । আর আগেও তিনি এ ধরনের ঘটনা ঘটিয়েছিলেন।

২০০৫ সালে সমকামীদের একটি র‌্যালিতে হামলা চালিয়ে চারজনকে ছুরিকাহত করার অভিযোগে কারাদণ্ড ভোগ করছিলেন। মাত্র কয়েক সপ্তা আগে তিনি কারাগার থেকে ছাড়া পান এবং আবারও একই ঘটনা ঘটালেন।

ছয়জনকে ছুরিকাহত করার পর ইয়েশাই শিলসেলকে ধরে ফেলা হয়। ছবি: রয়টার্স

প্রত্যক্ষদর্শীরা বলছেন, প্রায় ৫ হাজার মানুষ এই আয়োজনে অংশ নিয়েছিলেন। তারা একটি রাস্তায় হেঁটে যাচ্ছিলেন। এমন সময় একটি সুপারমার্কেট থেকে একজন সেই ভিড়ের মধ্যে খোলা ছুরি নিয়ে ঝাঁপিয়ে পড়েন এবং অংশগ্রহণকারীদের কয়েকজনকে ছুরিকাহত করেন।

ইসরায়েলি চ্যানেল ২ তে মাই অ্যাভিয়র নামে একজন প্রত্যক্ষদর্শী বলেন, “আমরা মানুষের ভয়ার্ত চিৎকার শুনতে পাচ্ছিলাম। সবাই আড়াল খুঁজছিল আর রক্তাক্ত কয়েকজন রাস্তায় পড়েছিল।”

কয়েকবছর ধরে পালিত হওয়া এই আয়োজনে এটাই সবচে ভয়ানক আক্রমণ।

ইসরায়েলের সংখ্যাগুরু ধর্মনিরপেক্ষ অংশ ও সংখ্যালঘু উগ্র ইহুদিদের মধ্যে প্রকাশ্যে সমকামিতা প্রকাশের এই বার্ষিক র‌্যালি নিয়ে বিরোধ রয়েছে।

বহু ইহুদি, মুসলিম ও খ্রিস্টান ধর্মানুসারী একে জঘণ্য কর্ম বলে সমালোচনা করে থাকেন।

ইয়েশাই শিলসেলের আক্রমণে আহত একজনের পাশে অন্যরা। ছবি: রয়টার্স

ইসরায়েলের অভ্যন্তরে সমকামী বিয়ে অনুমোদন করে না কর্তৃপক্ষ।

পুলিশ ও চিকিৎসকদের সূত্রে জানা গেছে, র‌্যালিতে হামলায় আহত হয়েছেন ৬ জন। তাদের মধ্যে গুরুতর অবস্থায় ২ জনকে হাসপাতালে নেয়া হয়েছে। এই দুইজনের একজন তরুণী।

একটি নেতৃস্থানীয় সমকামী অধিকার গোষ্ঠীর প্রধান ওডেড ফ্রাইড বলেন, এই হামলা আন্দোলনকে বন্ধ করতে পারবে না। জুনের ১২ তারিখও একই ধরনের সমকামী র‌্যালি হয়েছিল তেল আবিবে। সেখানে অনেক বেশি মানুষ অংশ নিয়েছিল এবং কোনো ধরনের অঘটন ছাড়াই সেটি সম্পন্ন হয়েছিল।

তিনি আরো বলেন, “সমঅধিকারের লক্ষ্যেই আমাদের সংগ্রাম। আর এ ধরনের আয়োজন সেই বিষয়টিকেই সামনে নিয়ে আসবে।”