১৫-জাতি জাতিসংঘ নিরাপত্তা পরিষদে একমাত্র রাশিয়াই ট্রাইব্যুনাল গঠনের বিরোধিতা করেছে। এতে করে ব্যাপক নিন্দা-সমালোচনার শিকার হয়েছে দেশটি।
২০১৪ সালের জুলাই মাসে মালয়েশিয়া এয়ারলাইন্সের যাত্রীবাহী বিমানটি বিধ্বস্ত হয় এবং এর ২৯৮ জন আরোহীর সবাই প্রাণ হারায়।
বিমানটি যখন বিধ্বস্ত হওয়ার সময় এটি পূর্ব ইউক্রেইনের রাশিয়াপন্থি বিদ্রোহী নিয়ন্ত্রিত এলাকা দিয়ে উড়ে যাচ্ছিল। সে সময় অভিযোগ উঠেছিল, ইউক্রেইনের রুশপন্থি বিদ্রোহীরাই বিমান বিধ্বংসী ক্ষেপণাস্ত্র ব্যবহার করে বিমানটি ভূপাতিতকরেছে। যদিও বিদ্রোহী নেতারা এ অভিযোগ অস্বীকার করেছেন।
পশ্চিমা দেশগুলো এবং ইউক্রেইন বলছে, বিমানটিতে রাশিয়ার সরবরাহ করা বাক বিমানবিধ্বংসী ক্ষেপণাস্ত্র আঘাত হানার প্রমাণ আছে। তবে রাশিয়াও এ অভিযোগ অস্বীকার করেছে। বিমান বিধ্বস্তের ঘটনার জন্য উল্টো ইউক্রেইন সরকারকেই দোষারোপ করে আসছে মস্কো।
মালয়েশিয়া এবছরই বিমানটি ভূপাতিত করার ঘটনায় জড়িতদের বিচারের আওতায় আনতে একটি আন্তর্জাতিক ট্রাইব্যুনাল প্রতিষ্ঠা করার উদ্যোগ নেয়।
জুলাইয়ের শুরুর দিকে মালয়েশিয়ার সঙ্গে অস্ট্রেলিয়া, নেদারল্যান্ডস, বেলজিয়াম ও ইউক্রেইনও যৌথভাবে আন্তর্জাতিক ট্রাইব্যুনাল গঠনের প্রস্তাব দেয়। কিন্তু এ প্রস্তাবটি আগেভাগে দেয়া হয়েছে এবং এটি ‘সময়োচিত নয়’ বলে বর্ণনা করেরাশিয়া। বিমানটির বিষয়ে চলমান তদন্তের ফলাফলের জন্য নিরাপত্তা পরিষদের অপেক্ষা করা উচিত বলে মত দেয় তারা।
বুধবার ট্রাইব্যুনাল প্রতিষ্ঠার প্রস্তাবনা নিয়ে নিরাপত্তা পরিষদের অধিবেশনে ভোটাভুটি শরু হলে রাশিয়া তাতে ভেটো দিয়েছে। অন্য ১১ টি সদস্য দেশ প্রস্তাবের পক্ষে ভোট দিয়েছে। আর এঙ্গোলা, চীন এবং ভেনেজুয়েলা ভোটদানে বিরত থাকে।