গাদ্দাফির ছেলে সাইফের মৃত্যুদণ্ড

শান্তিপূর্ণ প্রতিবাদ বিক্ষোভ বলপূর্বক দমনের চেষ্টা ও যুদ্ধাপরাধের দায়ে লিবিয়ার নিহত সাবেক একনায়ক মুয়াম্মার গাদ্দাফির জ্যেষ্ঠপুত্র সাইফ আল ইসলামকে মৃত্যুদণ্ড দিয়েছে দেশটির একটি আদালত।

>>রয়টার্স
Published : 28 July 2015, 11:36 AM
Updated : 28 July 2015, 12:14 PM

মঙ্গলবার ত্রিপোলির একটি আদালতে এ রায় দেওয়ার সময় সেখানে উপস্থিত ছিলেন না সাইফ। তার অনুপস্থিতিতেই আদালত এ রায় দেয়। এর আগে ভিডিও লিংকের মাধ্যমে আদালতে সাক্ষ্য দিয়েছিলেন তিনি।

২০১১ সালে গাদ্দাফির শাসনের শেষ দিকে স্বৈরশাসন বিরোধী গণবিক্ষোভ দমনের চেষ্টায় সাইফ সরাসরি ভূমিক রেখেছিলেন। বলপূর্বক বিক্ষোভ দমনের চেষ্টায় গণবিক্ষোভ শেষ পর্যন্ত গৃহযুদ্ধে রূপ নেয়।

সাইফের পাশাপাশি আদালত গাদ্দাফি আমলের আট শীর্ষ কর্মকর্তাকেও মৃত্যুদণ্ড দিয়েছে। এদের সবার মৃত্যুদণ্ড ফায়ারিং স্কোয়াডে কার্যকর করার নিদের্শ দিয়েছে আদালত।

মৃত্যুদণ্ড পাওয়া এসব শীর্ষ কর্মকর্তার মধ্যে সাবেক গোয়েন্দা প্রধান আব্দুল্লাহ আল সেনুসি এবং সাবেক প্রধানমন্ত্রী বাগদাদি আল মাহমুদি রয়েছেন।

সাইফের মতো একই অভিযোগে এদেরও মৃত্যুদণ্ড দেওয়া হয়েছে বলে জানিয়েছেন ত্রিপোলি স্টেট প্রসিকিউটর অফিসের প্রধান তদন্তকারী কর্মকর্তা সাদিক আল সুর।

গাদ্দাফি আমলের প্রধানমন্ত্রী বাগদাদি আল মাহমুদিকেও মৃত্যুদণ্ড দিয়েছে আদালত। রয়টার্স

আল নাবা টেলিভিশনে সম্প্রচারিত এক সংবাদ সম্মেলনে আল সুর জানিয়েছেন, গাদ্দাফি আমলের আরো আট সাবেক কর্মকর্তাকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড ও আরো সাতজনের প্রত্যেককে ১২ বছর করে কারাদণ্ডের আদেশ দিয়েছে আদালত।

বাকি চারজনকে নির্দোষ ঘোষণা করা করেছে আদালত।

সাইফ বাদে বাকি সবাই আদালতের হেফাজতে রয়েছেন। গত চার বছর ধরে সাইফ জিনতান শহরে সাবেক এক বিদ্রোহী গোষ্ঠীর হাতে বন্দি রয়েছেন।

সেই গোষ্ঠীর উপর লিবিয়ার কেন্দ্রীয় সরকারের কোনো নিয়ন্ত্রণ নেই। সাইফকে কেন্দ্রীয় সরকারের কাছে হস্তান্তর করতে অস্বীকার করেছে জিনতান নিয়ন্ত্রণকারী ওই গোষ্ঠীটি।

লিবিয়ার ক্ষমতা নিয়ে ত্রিপোলিতে সরকারের দুটি উপদলের মধ্যে লড়াই শুরু হওয়ার আগেই ২০১৪ সালের এপ্রিলে এই বিচারকাজ শুরু হয়েছিল।

আদালতের এ্‌ই রায়ের বিরুদ্ধে উচ্চ আদালতে আপিল করা যাবে। উচ্চ আদালতে এ রায় নিশ্চিত হলেই কেবল রায় কার্যকর করা যাবে।

আন্তর্জাতিক অপরাধ আদালত ও মানবাধিকার সংস্থাগুলো লিবিয়ার বিচার ব্যবস্থার স্বচ্ছতা ও দক্ষতা নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছে। তবে ২০১৩ সালে এই বিচার ব্যবস্থাই হেগে আন্তর্জাতিক অপরাধ আদালতে সেনুসির বিচারের বদলে দেশে তার বিচার করার অধিকার লাভ করেছিল।