বিবিসি বলছে, কিউবা ও যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যে কূটনৈতিক সম্পর্ক পুনরায় স্থাপিত হওয়ার সপ্তাখানেকের মধ্যেই মার্কিন পররাষ্ট্র বিভাগের বার্ষিক প্রতিবেদন থেকে এই তথ্য জানা গেছে।
ইতোপূর্বে যুক্তরাষ্ট্র অভিযোগ করেছিল, কিউবার সমাজতান্ত্রিক কর্তৃপক্ষ দেশটির নাগরিকদের বিদেশে থাকা সরকারি প্রকল্পগুলোতে জোর করে কাজ করতে বাধ্য করছে।
কিউবার পাশাপাশি মালয়েশিয়াকেও মানবপাচার রোধে ব্যর্থ রাষ্ট্রের তালিকা থেকে বাদ দিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র।
২০০৩ সালে কিউবাকে এই তালিকায় অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছিল।
যুক্তরাষ্ট্রের আন্ডার সেক্রেটারি অব স্টেট ফর সিভিলিয়ান সিকিউরিটি, ডেমক্রেসি এন্ড হিউম্যান রাইটস সারাহ সেওয়াল বলেন, যৌনকর্মী হিসাবে মানবপাচার রোধে কিউবা অগ্রগতি অর্জন করেছে।
তবে জোরপূর্বক কাজে নিয়োজিত করার ব্যাপারে দেশটি এখনো কার্যকর কিছু করতে ব্যর্থ হয়েছে।
৫০ বছরেরও বেশি সময় পর চলতি বছরের ২০ জুলাই কিউবা ওয়াশিংটনে পুনরায় দূতাবাস চালু করেছে।
হাভানাতেও আগামী সপ্তায় পুনরায় যুক্তরাষ্ট্রের দূতাবাস চালু হওয়ার কথা রয়েছে।
২০১৪ সালের ডিসেম্বরে মার্কিন প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামা ও কিউবার প্রেসিডেন্ট রাউল কাস্ত্রো বিশ্বকে চমকে দিয়ে দুই দেশের মধ্যকার বৈরি সম্পর্ক অবসানের ঘোষণা দেন।
এরপর থেকে গেল সাতমাসে দুই দেশের সম্পর্কের উল্লেখযোগ্য অগ্রগতি অর্জিত হয়েছে। এমন কী সন্ত্রাসে মদদ দেয়ার অভিযোগে যেসব দেশ যুক্তরাষ্ট্রের কালো তালিকাভুক্ত সেই তালিকা থেকেও কিউবাকে বাদ দেয়া হয়েছে।