সোমবার চাদের নিরাপত্তা বাহিনীর সূত্রগুলো এসব খবর জানিয়েছে।
এছাড়া হ্রদের নিকটবর্তী গ্রাম কাতিকিনে থেকে প্রায় ৩০ জনকে গোষ্ঠীটির জঙ্গিরা ধরে নিয়ে গেছে, এদের অপহরণ করা হয়েছে বলে ধারণা করা হচ্ছে।
নিরাপত্তা বাহিনীর নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক সূত্র জানিয়েছেন, অপহৃতদের চারটি স্পিডবোটে করে অজ্ঞাত স্থানে নিয়ে যাওয়া হয়েছে।
একই সূত্র বলেছেন, “কিছু মানুষ ইঞ্জিন চালিত নৌকায় করে এসে মেদি গ্রামে হামলা চালায়। কিন্তু সেনাবাহিনীর পাল্টা গুলিতে ১৩ হামলাকারী নিহত হয়। কয়েকজন সেনাও আহত হয়েছেন।
“একই দিন ব্লারিগি গ্রামের তিন ব্যক্তিকে গলা কেটে হত্যা করে সন্দেহভাজন বোকো হারাম জঙ্গিরা,” বলেন তিনি। এরপর হ্রদের ফিতিনে দ্বীপে হামলা চালিয়ে গ্রামটি জ্বালিয়ে দেয় জঙ্গিরা। হামলার মুখে দ্বীপের দুই হাজার বাসিন্দা পালিয়ে গেছেন বলে জানিয়েছেন তিনি।
নাইজেরিয়ার উত্তরাঞ্চলে একটি খলিফা শাসিত ইসলামি রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠার জন্য লড়াই করছে বোকো হারাম। গোষ্ঠীটি সিরিয়া ও ইরাকের বিশাল অংশ দখল করে নেওয়া ইসলামিক স্টেটের (আইএস) অনুগত্য ঘোষণা করে নিজেদের ইসলামিক স্টেটের পশ্চিম আফ্রিকা প্রদেশ (আইএসডব্লিউএপি) বলে পরিচয় দিচ্ছে।
ছয় বছর ধরে চলা এই গোষ্ঠীটির বিদ্রোহ দমনে সম্প্রতি নাইজেরিয়া, ক্যামেরুন, চাদ ও নাইজারের সম্মিলিত সামরিক বাহিনী অভিযান শুরু করেছে। অভিযানে কোনঠাসা হয়ে পড়া বোকো হারাম সাম্প্রতিক মাসগুলোতে চাদ হ্রদের তীরবর্তী বিভিন্ন গ্রামে হামলা শুরু করেছে।