পিকেকে-র অবস্থানে ফের তুর্কি বিমান হামলা 

বোমা হামলায় সেনা নিহত হওয়ার পর ফের ইরাকের কুর্দিস্তান ওয়ার্কার্স পার্টির (পিকেকে) শিবিরগুলোতে বিমান হামলা চালিয়েছে তুরস্ক। 

>>রয়টার্স
Published : 27 July 2015, 05:03 AM
Updated : 27 July 2015, 05:03 AM

রোববার রাতে দ্বিতীয় দিনের মতো এসব হামলা চালানো হয় বলে জানিয়েছে দেশটির নিরাপত্তা বাহিনীর সূত্রগুলো। 

এসব হামলার জেরে নিজ দেশের কুর্দি বিদ্রোহীদের সঙ্গে চলা আঙ্কারার শান্তি প্রচেষ্টার অবসান ঘটতে পারে বলে ধারণা করা হচ্ছে।
 
রোববার পিকেকে-র বোমা হামলায় তাদের দুই সেনা নিহত ও আরো চারজন আহত হয়েছেন বলে দাবি করেছে আঙ্কারা। 
 
এর আগে দেশটির দক্ষিণপূর্বাঞ্চলীয় একটি শহরে সন্দেহভাজন ইসলামিক স্টেটের (আইএস) আত্মঘাতী বোমা হামলায় ৩২ জন নিহত হন। 

আইএসের হামলার জবাবে সিরিয়ায় আইএসের অবস্থানগুলো লক্ষ করে শনিবার প্রথমবারের মতো বিমান হামলা শুরু করে তুর্কি সামরিক বাহিনী। পাশপাশি ইরাকে কুর্দি বিদ্রোহীদের শিবিরগুলোতেও হামলা চালায় তারা। 

কুর্দি বিদ্রোহীদের শিবিরে হামলার জের ধরেই তুর্কি সেনাদের ওপর হামলা চালানো হয়েছে বলে ধারণা করছে আঙ্কারা। 

আইএসের বিরুদ্ধে যুক্তরাষ্ট্রের নেতৃত্বাধীন জোট বাহিনীর বিমান হামলার বিষয়ে এতদিন নিরব ছিল তুরস্ক। কিন্তু আইএসের বোমা হামলার পর অবস্থান পাল্টে গোষ্ঠীটির বিরুদ্ধে বিমান হামলা চালানোর পাশাপাশি জোট বাহিনীর জন্য নিজেদের বিমান ঘাঁটিগুলো ব্যবহারেরও অনুমতি দিয়েছে দেশটি। 

নিরাপত্তা পরিস্থিতি নিয়ে উদ্বিগ্ন আঙ্কারা মঙ্গলবার নেটো জোটের বিশেষ বৈঠক আহ্বান করেছে। তুরস্কের আহ্বানে সাড়া দিয়ে নেটো জোটের প্রতিনিধিদের এ দিন ওই অঞ্চলের নিরাপত্তা পরিস্থিতি নিয়ে বৈঠক করার কথা রয়েছে।  

তুর্কি প্রধানমন্ত্রী আহমেত দাভুতোগলুর বরাত দিয়ে দেশটির সংবাদপত্র হুরিয়াত জানিয়েছে, সিরিয়ায় স্থল সেনা পাঠানোর কোনো পরিকল্পনা তুরস্কের নেই। আইএসের বিরুদ্ধে লড়াইরত সিরিয়ার মধ্যপন্থী বিদ্রোহীদের সমর্থন দেওয়ার উদ্দেশ্যেই সিরিয়ায় বিমান হামলা শুরু করেছে দেশটি। 

দাভুতোগলু বলেছেন, “সিরীয় কুর্দি পিওয়াইডি গোষ্ঠী তুরস্ককে বিরক্ত না করলে ‘নতুন সিরিয়ায়’ তারা একটি জায়গা পেতে পারে। তবে এর আগে সিরীয় প্রেসিডেন্ট বাশার আল আসাদের প্রশাসনের সঙ্গে সব সম্পর্ক ছিন্ন করতে হবে ও আসাদবিরোধীদের সহযোগিতা দিতে হবে।”

কিন্তু ইরাকি পিকেকে-র সঙ্গে যোগাযোগ থাকা পিওয়াইডি এসব প্রস্তাবে রাজি হবে কিনা তা নিয়ে যথেষ্ট সন্দেহ আছে। 
 
২৮ বছর ধরে রক্তপাত চলার পর ২০১২ সালে নিজ দেশের কুর্দি বিদ্রোহীদের সঙ্গে আঙ্কারার শান্তি প্রক্রিয়া শুরু হয়। কিন্তু কিছুদিন ধরে এই শান্তি প্রক্রিয়ার গতি স্তব্ধ হয়ে আছে। 

এ অবস্থায় ইরাকে কুর্দি পিকেকে-র শিবিরে আঙ্কারার বিমান হামলায় ওই শান্তি প্রক্রিয়ার ভবিষ্যৎ নিয়ে গভীর সন্দেহ সৃষ্টি হয়েছে।