জাপান থেকে রওনা হয়ে স্থানীয় সময় ০৫.৫৫ মিনিটে হাওয়াইয়ে পৌঁছায় বিমানটি।
এক প্রতিবেদনে বিবিসি জানিয়েছে, কোনো বিরতি ছাড়াই ১১৮ ঘন্টায় ৭২০০ কিলোমিটার আকাশপথ পাড়ি দিয়ে নির্দিষ্ট গন্তব্যে পৌঁছায় সোলার ইমপালস।
সোলার ইমপালসের এ ঐতিহাসিক ফ্লাইটে পাইলটের দায়িত্ব পালন করেছেন আন্দ্রে বোর্শবার্গ। হাওয়াইয়ের কালায়েলোয়া এয়ারপোর্টে বিমানটিকে সফলভাবে অবতরণ করান তিনি।
বিরতি এবং জ্বালানী ছাড়া আকাশপথে দীর্ঘ যাত্রার মাধ্যমে নতুন রেকর্ড গড়েছে সোলার ইমপালস। এই দীর্ঘ যাত্রায় ক্লান্তি অনুভব করেছেন কিনা এমন প্রশ্নের জবাবে বোর্শবার্গ বলেন, “মজার ব্যাপার হচ্ছে, কোনো ক্লান্তি অনুভব করিনি। বিষয়টি নিয়ে আমি নিজেও অবাক হয়েছি। ফ্লাইট চলাকালীন অসংখ্য মানুষের সহায়তা পেয়েছি, এ ব্যাপারটিই আমাকে শক্তি জুগিয়েছে।”
সোলার ইমপালস প্রকল্পের পরিকল্পনা অনুসারে, কালায়েলোয়া এয়ারপোর্ট থেকে বিমানটির দায়িত্ব বুঝে নেবেন আরেক পাইলট বার্ট্রান্ড পিকার্ড। তিনি বিমানটি নিয়ে হাওয়াই থেকে ফিনিক্স, অ্যারিজোনার উদ্দেশ্যে রওনা হবেন। তবে তার আগে বিমানবন্দরে অবস্থানরত ক্রুরা কয়েকদিন বিমানটির কার্যক্ষমতা অক্ষুন্ন আছে কি না পরীক্ষা করবেন।
সবকিছু ঠিক থাকলে সোলার ইমপালস নিয়ে ফিনিক্স, অ্যারিজোনায় পৌঁছাতে চার দিন ও চার রাত সময় লাগবে পিকার্ডের।
সোলার ইমপালসের সাম্প্রতিক ফ্লাইট প্রসঙ্গে পিকার্ড বলেন, “জ্বালানীসহ যেসব সিঙ্গেল-সিটার ফ্লাইট হয়েছে, তার মধ্যে আন্দ্রের ফ্লাইটটিই ছিল সবচেয়ে দীর্ঘতম ও জ্বালানীবিহীন।”