এসএমএসের জনক নামে বহুল পরিচিত হলেও এই প্রযুক্তি উদ্ধাবনের একক কৃতিত্ব নিতে বরাবরই নারাজ ছিলেন ম্যাকোনেন। মূলত তিনিই প্রথম ধারণা দেন যে, মোবাইল নেটওয়ার্কের মাধ্যমে টেক্সট পাঠানো সম্ভব হবে এবং সেটি হবে যুগান্তকারী অগ্রগতি।
প্রথম টেক্সট মেসেজ পাঠানোর ২০ বছর পূর্তিতে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে ম্যাকোনেন জানিয়েছিলেন, টেক্সট মেসেজ সেবার সম্পূর্ণ প্রক্রিয়াটিই ছিল এক যৌথ প্রচেষ্টার ফল। ফিনল্যান্ডভিত্তিক মোবাইল ফোন নির্মাতা নোকিয়া এই সেবাকে জনপ্রিয় করতে বড় ভূমিকা রেখেছিল বলে মনে করতেন তিনি।
“আমি মনে করি, যখন নোকিয়া এমন ফোন বাজারে নিয়ে এসেছিল যেটিতে সহজে লেখা সম্ভব, তখনই সেবাটি প্রকৃত অর্থে যাত্রা শুরু করেছিল।” নির্দিষ্ট করে বললে ১৯৯৪ সালে বাজারে আসা ‘নোকিয়া ২০১০’ মডেলের মোবাইলের কথা বলেছিলেন ম্যাকোনেন।
বিগত কয়েক বছর যাবত ফিনিশ টেলিকম গ্রুপ ফিনেট অ্যাসোসিয়েশনের ম্যানেজিং ডিরেক্টর জার্মো ম্যাটিলাইনেন-এর সঙ্গে কর্মরত ছিলেন ম্যাকোনেন। ম্যাটিলাইনেনের ভাষ্য মতে, মোবাইল ইন্ডাস্ট্রির ‘বটবৃক্ষ’ ছিলেন ম্যাকোনেন।
ম্যাকোনেনের প্রয়াণ সম্পর্কে তিনি বলেন, “বিষয়টি খুবই দুঃখজনক, তিনি দ্রুত অবসর নিতে যাচ্ছিলেন এবং তার আরও অনেক বছর বেঁচে থাকা দরকার ছিল।” এসএমএস, থ্রিজি প্রযুক্তির বিভিন্ন বিষয় নিয়ে ম্যাকোনেনের সঙ্গে আলোচনা চলতো বলে জানিয়েছে ম্যাটিলাইন। ম্যাকোনেন সব সময় প্রযুক্তির এই দিকগুলো নিয়ে আলোচনা করতে পছন্দ করতেন।