দুই সপ্তাহ টানা ব্যবহার করার পর এর বিভিন্ন বিষয় নিয়ে মোটামুটি একটা ধারণা পাওয়া সম্ভব।
ওএস: অপারেটিং সিস্টেম নিয়ে তেমন কিছু একটা বলার নেই। অ্যান্ড্রয়েড কিটক্যাট ওএস ব্যবহার করা হয়েছে এতে। খানিকটা মডিফাই করে নেওয়া হয়েছে ওএস।
কেইসিং: ফোনের সঙ্গে দুটি ব্যাক কভার পাওয়া যাবে। একটি সাধারণ ব্যাক কভার আর অপরটির সঙ্গে যুক্ত আছে ফ্লিপ কভার, যার সামনে আবার বৃত্তাকারে কাটা। ওই বৃত্ত দিয়ে ফোনের কভার বন্ধ অবস্থায়ও স্ক্রিনের খানিকটা অংশ অ্যাক্টিভেটেড থাকবে। সেখানে পাওয়া যাবে ঘড়ি, এসএমএসসহ বেশ কয়েকটি ফিচার ব্যবহারের সুযোগ। তবে এই কাটা অংশটি বৃত্তাকার না হয়ে আয়তাকার হলে ডিসপ্লের স্পেস ম্যানেজমেন্ট আরও ভালো হত। টাচ স্ক্রিনের তুলনায় ফোনের কেইসিং যথেষ্ট বড় নয়, ফলে অনায়াসে হাতে ধরা সম্ভব।
টাচস্ক্রিন: ৫ ইঞ্চি ডিসপ্লেযুক্ত এই ফোন। পিক্সেল সংখ্যা ১২৮০ বাই ৭২০। প্রতি ইঞ্চিতে পিক্সেল ঘণত্ব ২৯৩, যা আইফোন ৬ এর ৩২৬ পিক্সেল, আইফোন ৬ প্লাস-এর ৪০১ পিক্সেল আর গ্যালাক্সি এস৬ এর ৫৭৭ পিক্সেল এর তুলনায় কম। তবে এটা নিয়ে মাথা না ঘামালেও চলবে। কারণ, খালি চোখে এই পিক্সেল ঘণত্বের তফাৎ আপনার চোখে পড়বে না। যেটি হবে তা হল, খুব কাছ থেকে দেখলে এর স্ক্রিনের সূক্ষ্ম সমান্তরাল কিছু প্যাটার্ন আপনার চোখে পড়তে পারে। অন্তত যে সেটটি রিভিউ করার জন্য পাঠানো হয়েছিল সেটিতে এমনটি দেখা গেছে।
নেটওয়ার্ক: দুটি সিম ব্যবহার করা যাবে এই ফোনে। দুটোই স্ট্যান্ডবাই থাকবে। একটিতে থ্রিজি ও তদুর্ধ্ব এবং অপরটিতে টুজি নেটওয়ার্ক পাওয়া যাবে। আপনি যে সিমে নেট ব্যবহার করতে চান সেটি এক নম্বর সিম ট্রেতে যোগ করে নিতে হবে।
ক্যামেরা: পেছনের মেইন ক্যামেরা ৮ মেগাপিক্সেল আর সামনে ২ মেগাপিক্সেল। সাধারণ ছবি তোলার জন্য পেছনের ক্যামেরাটি যথেষ্টই মানসম্মত বলে মনে হয়েছে। তবে সামনের ক্যামেরাটি স্বল্প আলোয় ভালো রেজাল্ট দেয়নি।
মেমরি: ফোনের র্যাম ১ গিগাবাইট আর বিল্টইন মেমরি ৮ গিগাবাইট, প্রচলিত বিভিন্ন অ্যাপ ব্যবহারের জন্য যা চলসনই। যারা খুব বেশি গ্রাফিক্সসম্পন্ন গেইম খেলতে চান, তারা হয়ত বলবেন এতে ২ গিগাবাইট র্যাম থাকলে ভাল হত। আর চাইলে বাড়তি ৩২ গিগাবাইট পর্যন্ত মেমরি বাড়িয়ে নিতে পারেন মাইক্রোএসডি কার্ডের মাধ্যমে, বেশিরভাগ স্মার্টফোনের জন্য যা স্ট্যান্ডার্ড ধরা হয়।
সব মিলিয়ে বলা চলে, যারা বড় স্ক্রিনের স্মার্টফোন ব্যবহার করতে চান, একইসঙ্গে দীর্ঘ ব্যাটারি লাইফও চান এবং এর বিনিময়ে বাজারে প্রচলিত দামী সব মোবাইলের কিছু ফিচারে ছাড় দিতে প্রস্তুত আছেন, তাদের জন্য সিমফনি এক্সপ্লোরার এইচ১৫০। এর ১০,৫৯০ টাকা দামটিও বেশিরভাগ স্মার্টফোন ক্রেতার হাতের নাগালেই হয়ত থাকবে।